দেশের খবর: কনকনে ঠাণ্ডার পর সূর্য ওঠায় কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হলেও বছরের শুরুতেই আবার বৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী ২ জানুয়ারি রাত থেকে আবারও বৃষ্টি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি থাকতে পারে দুদিন। এতে তাপমাত্রা আবার কমে গিয়ে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ফের শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা প্রকাশ করছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত । মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, তাপমাত্রা গতকালের তুলনায় আজকে আরও বেড়েছে। অনেক এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ কমে এসেছে। আগামী দুইদিন শৈত্যপ্রবাহ কমে আসবে। কিন্তু, আগামী দুই ডিসেম্বর রাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ২ তারিখ রাত থেকে ৩ তারিখ এবং ৪ তারিখও এই বৃষ্টি থাকতে পারে। তিনি জানান, বৃষ্টি কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি হবে আবার কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের হতে পারে।
তাদের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশের কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বর্তমানে টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এসব এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন ভোরে এখানে তাপমাত্রা ছিল আরও কম, মাত্র ৪ দশমিক ৫। তবে সূর্য ওঠায় এ তাপমাত্রা বেড়ে সকাল ১১টায় ১১ ডিগ্রিতে ওঠে। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১। এছাড়াও ময়মনসিংহে ১০ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ১৪, সিলেটে ১২ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৮, রংপুরে ৯ দশমিক ৫, খুলনায় ১১ দশমিক ৬ এবং বরিশালে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
দেশে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের জেলা হচ্ছে, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়া, নওগাঁর বদলগাছী, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলা, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালী। এসব জেলা ও উপজেলার সন্নিহিত এলাকাগুলোতেও তাপমাত্রা কাছাকাছি ছিল। তবে শিল্প এলাকাগুলোতে তাপমাত্রার হেরফের পরিলক্ষিত হয়। এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসেও শৈত্যপ্রবাহের কথা বলা হয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ওই মাসে দেশে ২ থেকে ৩ টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলাসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে ২টি তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।