নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বুলবুলের সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম অর্থ বাণিজ্য এবং স্থানীয় দালাল চক্রের সহিত হাত মিলিয়ে সর্বিক দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং নিয়ম বর্হিভূত কাজের বিরুদ্ধে শ্যামনগরের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসাধারণগণ পিটিশন দিয়েছে সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয়ভাবে তথ্য নিয়ে জানা যায় যে, শ্যামনগরের ৫নং কৈখালী ইউনিয়নে ২৩৭১ জন মানুষের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি(ফেয়ার প্রাইজ চাউল) যা জনগনের মাঝে ১০টা কেজি দরের চাউল নামে পরিচিত ওই চাউল বিতরণ/ তালিকা প্রস্তুত করনের জন্য কৈখালীর সাবেক চেয়ারম্যান জি.এম রেজাউল করিম ও তৎকালিন শ্যামনগর উপজেলার ফুট অফিসার এবং নকিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুর্নীতিবাজ আমিনুর রহমান বুলবুল অত্যান্ত সুকৌশলে বিধি বর্হিভূতভাবে তালিকা প্রস্তুত করেন এবং ডিলিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউলের আপন ভাই আবুল কালাম শুভ, আপন বোনাই মুজিবর মল্লিক, চাচাতো ভাই আনারুল ও রাজাকার পুত্র বাবলুর রহমানের নামে ডিলিয়ার নিয়োগ দেন, কৈখালীতে শতাধিক লোকের যথাযথ নিয়মে ১০টাকা দরের চাউল ডিলিয়ারগণ এবং নকিপুর খাদ্য গুদামের আমিনুর রহমান না দিয়ে কৌশলে বিক্রয় করে আত্মসাত করে চলেছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হত দরিদ্রের মাঝে বিতরনের চাউলের এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কৈখালীর ইউ.পি চেয়ারম্যান শেখ আ: রহিম তদন্ত স্বাপেক্ষে অভিযোগ জানালে, মামলাবাজ রেজাউল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা গত ১৫ ই ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং- ২১। নকিপুর খাদ্য গুদামের আমিনুর রহমানের দীর্ঘদিনে একউ স্থানে কর্মরত থাকাকালীন একের পর এক দুর্নীতি করছে বলে কৈখালীর চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম এ প্রতিবেদককে জানান। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামনগর সকলের প্রতি দুর্নীতিবাজ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।