নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কয়েকটি বিলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫ টায় শিবপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হোসেন মানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন সরকার, বাবুলিয়া সেবা সংসদের সভাপতি কওছার আলী, সাংবাদিক রঘুনাখ খাঁ, এম.বেলাল হোসাইন, বৈদ্যনাথ সরকার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বারপোতা, ডুমুরতলা, তেঁতুলতলা, হরিশপুর, সোনারডাঙা, নিমতলাসহ কয়েকটি বিলের পানি ডাকাতিপোতা খাল থেকে পদ্মবিলা দিকে প্রবাহিত হয়ে নিষ্কাশিত হতো। বর্তমানে ওই খালের তলদেশে পলি ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে সোনারডাঙা থেকে নিমতলা অভিমুখী সোনাই খাল ব্যবহৃত হতো। ওই খাল এক সময় ৩০ ফুটেরও বেশি চওড়া ও ১৫ ফুট গভীর থাকলেও বর্তমানে জবরদখলকারিদের কবলে পড়ে চওড়া আট ফুট ও চার থেকে পাঁচ ফুট গভীর রয়েছে। অর্থাৎ এ খাল পানি নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হচ্ছে না। এ ছাড়াও স্থানীয় জমির মালিকরা যত্রতত্র বাঁধ দিয়ে অপরিকল্পিত মাছ চাষ করার কারণে পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে বিভিন্ন বিলের কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ইরি বা বোরো চাষ করা যাচ্ছে না। এরপরও ২ নং ওয়ার্ডের ১১১৪ দাগের সরকারি খাস জায়গার কিছু অংশ ঘিরে দীলিপ সরকার ও তার সহোদররা বাঁধ নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত হচ্ছে শিবপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে সাত গ্রামের মানুষ। যত্রতত্র বাঁধ দেওয়ার ফলে এক সময়কার সাময়িক জলাবদ্ধতা ধীরে ধীরে স্থায়ী রুপ নিতে চলেছে। জমির মালিকপক্ষ নিজেদের ঘেরের পাশে নর্দমা তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে ও দীলিপ সরকার বাঁধ কেটে দিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা না করলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। জনস্বার্থে কেই যদি ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করেন তা হলে প্রশানসের সহায়তায় গ্রামবাসি বাধা অপসারণ করবে। আলোচনা সভা শেষে ওবায়দুল হোসেন মানিকে আহবায়ক, বৈদ্যনাথ সরকার, সিরাজুল ইসলামকে যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন সরকারকে সদস্য সচিব করে শিবপুর জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটি গঠণ করা হয়।