স্বাস্থ্য

শীতে পানি কম পান করলে বাড়বে বিপদ!

By Daily Satkhira

January 02, 2020

স্বাস্থ্য পরামর্শ: শীত আসলেই যেন পানিতে অ্যালার্জি ধরে আমাদের। এ সময় গোসল তো দূরে থাক, অতিরিক্ত তৃষ্ণা না পেলে কেউ পানি পানই করতে চান না। আর এখানেই আমরা মারাত্মক ভুলটা করে থাকি। শীতে পানি পান করতে হবে অধিক গুরুত্বের সঙ্গে। এসময় পানি পান কমিয়ে দিলে শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। ডিহাইড্রেশন, বদ হজম, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে শরীর। এছাড়াও হতে পারে আরো মারাত্মক কিছু বিপদ যা কল্পনার বাইরে। চলুন দেখে নেই শীতে পানি কম পান করলে যা হয়!

শরীরে পানিশূন্যতা এর প্রথম কারন। পানি শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি সেইসাথে শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডার সময় প্রয়োজনে পানি কুসুম গরম করে পান করুন। কিন্তু পানি পান করা কমিয়ে দেয়া যাবে না। পানি আমাদের শরীর শুধু সতেজ রাখে না বরং ত্বক ভালো রাখে। নানা অসুখ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে পানি, যেমন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ পানির মাধ্যমে বের হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পানে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, মাথা ব্যথা সেরে যায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমায়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। হুট করে পানি পানের মাত্রা কমিয়ে দিলে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হবে ফলে মস্তিষ্ক ও শরীরে শক্তির মাত্রা হ্রাস পায়। মাথাব্যথার একটি বড় কারণ পরিমিত পানি পান না করা। পানির অভাবে এমনকি হতাশা বা ক্রনিক ফেটিগ সিনড্রোম দেখা দিতেও পারে।

শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসপ্রদাহে পান করলে শান্তি মেলে। কারণ ফুসফুসকে আর্দ্র করে শ্বাস নিতে সাহায্য করে পানি। চর্মরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার একটি বড় কারণ পানি পান না করা। বেশি পানি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে। হজমের জন্যও পানি খুব জরুরি। গ্যাস্ট্রাইসিস, বুক জ্বালা অনেকটা কমে যায় নিয়মিত পানি খেলে। পানির সাহায্য নিয়ে কিডনি মানুষের শরীরের বর্জ্য পদার্থ ইউরিক অ্যাসিড, ইউরিয়া ও প্লাস্টিক অ্যাসিড বের করে দেয়। এসব পদার্থ কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে শীতে কোনোভাবেই পানি পান করা কমানো যাবে না। একজন মানুষের দিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত সেটির নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ নেই। তবে সাধারণ অবস্থায় একজন পুরুষের দৈনিক তিন লিটার বা ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন আর নারীর জন্য দুই লিটার বা আট থেকে ১০ গ্লাস। এছাড়া গর্ভকালীন অবস্থায় বেশি পানি পান করতে বলেন চিকিৎসকরা।