নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ১৫ বছর আগে স্বামী মারা যায় শ্যামনগরের গোমনতলীর জাহিদা খাতুনের (৬৫)। ছেলেরা লায়েক হলেও বিয়ের পর তাকে দেখে না। নিরুপায় হয়ে সাতক্ষীরা শহরের মিনি মার্কেট এলাকার বাংলাদেশ হোটেলে রান্নার কাজ করেন। থাকেন মিনি মার্কেটের পাশে একটি দোচালা ঘরে। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশান সোসাইটির পক্ষ থেকে জাহিদা একটি কম্বল দেওয়া হয়েছে। কম্বল হাতে পাওয়ার পর আল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাহিদা বলেন, আজ রাত থেকেতার ঘুমটা ভালই হবে। হোটেলে কাজ করে যে টাকা পান তা দিয়ে কোন রকমে জীবন চলে। শীতের গরম কাপড় কিনব কিভাবে। যারা এ কম্বল দিয়েছে খোদা যেন তাদের মঙ্গল করেন। সাতক্ষীরা সদরের বালিয়াডাঙা গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধি আব্দুস সালাম। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধি হওয়ায় অভাবের সংসারে তাকে বাড়িতে নানা বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়। এক বছর আগে সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশান সোসাইটি তাকে একটি হুইল চেয়ার দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের সুবিধা করে দিয়েছে। এরপরও শীতে বেশ কষ্ট পাচ্ছিলাম। আবাহওয়া অফিস কয়েকদিন আগে থেকে জানাচ্ছিল যে ২ জানুয়ারি থেকে বৃষ্টির সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ পড়বে। মনে মনে ভাবছিলাম শীতের এত লম্বা রাত কাটাবো কিভাবে। অবশেষে সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশান সোসাইটি তাকে বৃহষ্পতিবার সকালে একটি কম্বল দিয়েছে। সেখান থেকে দূর হয়েছে শীতের রাত কাটানোর। ব্লাড ডোনেশান সোসাইটির উদ্যোগে আরো মানুষ যেন মূমুর্ষ অবস্থায় রক্ত পায়। কোন গরীব যেন কম্বল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয়। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের মিনি মার্কেটে সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশান সোসাইটি’র উদ্যোগে আয়োজিত দুস্থ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানে গরম কাপড় পেয়ে এভাবেই তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন ৩৭জন গরীব ও প্রতিবন্ধি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠণের সভাপতি মোঃ ইসরাইল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান জেমস, মোঃ মহিবুল্লাহ সরদার, শেখ কামরুল ইসলাম, আব্দুর রউফ খোকন, মোঃ হাসানুজ্জামান ও আরিফুল ইসলাম।