বিদেশের খবর: মার্কিন হামলায় ইরানের অন্যতম শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। নিহত জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ছিলেন ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান। হামলায় জেনারেল কাসেম ছাড়াও আরো পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহুদি আল-মুহান্দিস।
এর আগে সৌদি আরবের একটি তেলক্ষেত্রেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর হুমকি নিয়ে শুরু হয়েছে গভীর উদ্বেগ। আর তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিককে ইরাক ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা যায়। বিবৃতিতে বলা হয়, যখনই সম্ভব জরুরি ভিত্তিতে আকাশপথে মার্কিন নাগরিকদের ইরাক ত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হলো। তা সম্ভব না হলে, তারা যেন স্থলপথেই ইরাক ত্যাগ করে।
এদিকে, সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় জাভেদ জারিফ এ কথা বলেন।
মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত সোলাইমানির হত্যাকারীদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। পাশাপাশি ইরানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে উপসাগরে যুদ্ধ শুরুর সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছে। অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল নিহত হওয়ার আগেই মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া হুঁশিয়ার করেছে, কোনোভাবেই যাতে উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধ না বাঁধানো হয়। তবে এবার মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল নিহত হওয়ার পর সে আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনযিয়া বলেছেন, এ ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপসাগরে বৃহত্তর কোনো সংঘাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে রাশিয়া খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চল এবং আশপাশে এমনিতেই অনেক সমস্যা। সুতরাং নতুন একটি সমস্যা ওই অঞ্চলে সর্বনাশ ডেকে আনবে। রাশিয়া চায় যে কোনো মূল্যেই যেন যুদ্ধ এড়ানো যায়।