নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাদকাসক্ত ও চাঁদাবাজ আসমাউল হুসাইনের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান, পাটকেলঘাটা থানার গাবতলা গ্রামের ছালাম সরদারের ছেলে জাবের হোসেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন বে-সরকারি চাকরিজীবী একই সাথে লেখাপড়ার পাশাপশি সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ত। আমি অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ রাত অনুমানিক ৯ টার সময় আশাশুনি মাদারদীঘি নামক স্থানে পাথেও ট্রেনিং সেন্টারের পাশে পৌঁছালে আশাশুনি সদরের রফিকুল ইসলামের ছেলে চিহ্নিত চাঁদাবাজ আসমাউল ও তার বাহিনী আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার কারণ জিজ্ঞাসা করা মাত্রই সেলিম রেজা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আমাকে জোরপূর্বক একটি লাল রঙের মটরসাইকেলে বসিয়ে আশাশুনি হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশে মরহুম সরদার মুজিবুর রহমানের প্রাচীরের মধ্যে নিয়ে আবারও আমার এক লাখ টাকা দাবী করে। এতে আমি অস্বীকার করলে আসামিরা আমাকে বেদম মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে মোবাইলে আমার সহকর্মী তানভীর রেজাকে সেখানে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে ওই দিন রাত সাড়ে ১০ টার সময় উক্ত স্থানে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমার সহকর্মী আমার হাতে উক্ত টাকা দেওয়ার সাথে সাথেই আসমাউল হুসাইন আমার হাত থেকে উক্ত ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেই এবং তানভীরকেও আমার সাথে আটকে রাখে। বাকি ৮০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োাগ করলে আমার বিকাশ নম্বর (০১৭১২৪০৬২১৩) থেকে তাদের দুটি নম্বরে (০১৭৪৫০০৬৮৫৮ ও ০১৭১৩৫৩৭০১) আরো ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করি। এরপর তারা জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে ৩’শত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং দাবিকৃত বাকি টাকার চেক নেওয়ার জন্য জনয়ালসহ তারা আমার ও আমার সহকর্মী তানভীরকে আমার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। এরপর সেখানে স্থানীয়রা পৌঁছালে জয়নাল সহ তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরদিন আমি আশাশুনি থানায় আসমাউল হুসাইন (৩০), সেলিম রেজা (২৮), রানা ওরফে গুটি রানা (২৯), জয়নাল (২৭), জেনিথ (২৬), আল আমিন হোসেনসহ (২৭) অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করি। যা সাতক্ষীরার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে সদ্য বহিস্কৃত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকের অনুসারী হয়ে আশাশুনিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে আসমাউল হুসাইন। তার বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস থেকে চাঁদা আদায়, অপহরণ, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন,পকেট কমিটি করে টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলন তিনি এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইনকে বহিষ্কার ও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনসহ তার ও তার বাহিনীর সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মোজাফফর রহমান,রিপন হোসাইন, ইয়াছিন আলী, আবু সাইদ, আল-আমিন হোসেন, ইদ্রিস আলী, বরুন সরকার বায়জিদ শেখ প্রমুখ।