দেশের খবর: পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার (৫ জানুয়ারি) কল্যাণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছুটি ও প্রণোদনার দাবি তুলে ধরেন সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১২০ দিন ছুটি ভোগ করেন। কাজের ধরন ও চাপের কারণে পুলিশ সদস্যরা কখনও এই ছুটি ভোগ করতে পারেন না। তাই এই সময় কর্মকাল হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের কমপক্ষে ৬০ দিন বা দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হোক।
কল্যাণ সভায় অংশ নেওয়া দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, এস আই আনোয়ারের ছুটি নিয়ে তোলা এ দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, পুলিশের কোনও কর্মঘণ্টা নেই, ছুটিও নেই। তারা সবসময় অন-ডিউটিতে থাকে। তাই পুলিশের জন্য আসলে কিছু করা উচিত। তবে আমরা হয়তো দুই মাসের দিতে পারবো না, অন্তত এক মাসের বেতন আমরা দেবো।’ কল্যাণ সভায় কনস্টেবল লাকি খাতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি তোলেন বিভিন্ন ভাতা নিয়ে। পুলিশের নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিভিন্ন ট্রেড, যেমন—টেলিফোন, বিউগল, নার্সিং, ড্রাইভিং, ক্লিনার ইত্যাদি ভাতা, যা ট্রেডভেদে ১৫ থেকে ৩০ টাকা। বর্তমান বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তা বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছিল গতবারের পুলিশ সপ্তাহে। লাকির এ দাবির কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা অবাক হন বলে জানান সভায় অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, কনস্টেবলের জন্য ৮৫ সালের যে ১৫ থেকে ৩০ টাকা ভাতা ছিল, সেটা এখনও আছে। ১৫ টাকায় এখন এক কাপ চাও পাওয়া যায় না। এটা একটা হাস্যকর বিষয়। এ বিষয়গুলো আমার অফিস থেকে বলার পরও কেন এখনও করা হয়নি, আমি জানি না!’ কিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বেতন কাঠামোর পূর্ববর্তী কাঠামো অর্থাৎ ২০১৫ সালের কাঠামো অনুযায়ী এই ভাতাগুলো বাড়ানো যেতে পারে, যা ট্রেডভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা যৌক্তিকভাবে বাস্তবায়ন করবো।’ কল্যাণ সভায় উত্থাপিত দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি মো. সোহেল রানা বলেন, ‘পেশাগত সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে পুলিশের জন্য কিছু যৌক্তিক দাবিও তুলে ধরা হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। যার অনেকগুলোই তিনি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।’