সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

By daily satkhira

January 08, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপহৃত সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা রানী মিস্ত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসুচি পালিত হয়। বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র, স্বদেশ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে আমরাই পারি’ সংগঠণের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে পথ সভায় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মন্ডল, বাংলাদেশ মানবাাধিকার সংগঠণের সাতক্ষীরার শাখার সভাপতি অ্যাড. ওসমান গণি, সুনাম কমিটির সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি অ্যাড. সোমনাথ ব্যাণার্জী, মাইনরিটি হিউম্যান রাইটস মিডিয়া ডিফেণ্ডার ফোরামের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, অপহৃত সীমার বাবা স্বপন কুমার মিস্ত্রী, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, বরষার সহকারি পরিচালক নাজমুল আলম মুন্না, যুব কমিটির নেতা মিলন বিশ্বাস, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোস্না দত্ত, মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তাম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা রানী মিস্ত্রীকে গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে দক্ষিণ ফিংড়ি গ্রামের শেখ অহিদুল ইসলামের ছেলে বখাটে রায়হানও তার সহযোগীরা। রাতেই সীমাকে দেবহাটার কদবেলতলা থেকে উদ্ধার করার পর পরদিন থানায় মামলা করা হয়। একই দিনে সীমা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এরপর থেকে অপহরণকারিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল সীমার বাবা ও তার পরিবারের সদস্যদের। মামলা তুলে নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ৭ ডিসেম্বর দুপুর একটার দিকে বিদ্যালয়ের বার্ষিক অংক পরীক্ষা শেষে রাস্তায় আসা মাত্রই রায়হানসহ তার সহযোগীরা তাকে আবারো অপহরণ করে। এরপর ৩১ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমানের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আসামী শ্রেণীভুক্ত হওয়ার পরও মূল অপহরণকারি রায়হানের মা আছিয়া খাতুন প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছেন। অন্যরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না বলে দাবি করছে। আগামি তিন দিনের মধ্যে সীমাকে উদ্ধার ও অপহরণকারিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামি বুধবার বৃহত্তর কর্মসুচি দেওয়া হবে। বক্তারা আরো বলেন, দেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দু’ থেকে ৭০ বছর বয়সী নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে। ছাড় পাচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। মূল আসামীর পরিবর্তে নিরীহ ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ জেলে পাঠাচ্ছে। এসব ঘটনা মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলেছে। দোষীদের বিচারের আওতায় এনে ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুরাতন সাতক্ষীরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রবিন মণ্ডল বলেন, সীমাকে উদ্ধার করার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে কয়েক বার অভিযান চালানো হয়েছে। #

। তাংÑ ০৮.০১.২০ ছবি আছে।