ভিন্ন স্বাদের খবর: টাঙ্গাইলের সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ১ম বর্ষে চান্স পেয়েছেন ছয় ছাত্র। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তির চূড়ান্ত তালিকায় ওই ছয় ছাত্রের নাম দেখানো হয়েছে। এরা হলেন- আবদুল আলীম, সজল হোসেন, ফরহাদ আলম, রাসেল হোসাইন, হৃদয় খান ও সেলিম মাহমুদ। সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ সূত্র জানায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজগুলোতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য গত ১১ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করেন। ওই ছয় শিক্ষার্থী সরকারি সাদত কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করেন। মেধার ভিত্তিতে সরকারি সাদত কলেজের কোটা পূরণ হওয়ায় তারা ওই কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি। এদিকে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজে ৫০ আসনের বিপরীতে মাত্র নয় মেয়ে শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ভর্তি হন। ওখানে আরও ৪১ আসন শূন্য থাকে। দ্বিতীয় দফায় শূন্য আসন পূরণের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ১৯ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিলিজ স্লিপে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়। তখন প্রথমবার ভর্তির সুযোগ না পাওয়া ওই ছয় ছেলে শিক্ষার্থী রিলিজ স্লিপে ভর্তি হওয়ার জন্য সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজসহ আরও দুটি কলেজকে চয়েজ দিয়ে অনলাইনে ফরম পূরণ করেন। পরে গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের শূন্য ৪১ আসনে ৪১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য যোগ্য বলে দেখানো হয়। এই তালিকায় ছয় ছেলের নাম দেখে হতবাক হয়ে যান মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা। শিক্ষার্থী রাসেল হোসাইন বলেন, ‘অনলাইনে আবেদনের সময় মহিলা কলেজের নামে ক্লিক করার পর আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে ওই ধরনের ব্যবস্থা থাকলে আমাদের আবেদন গ্রহণ হতো না। ফলে আমরা হয়তো অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারতাম। আমরা দ্বিতীয়বার রিলিজের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তা না হলে আমাদের এক বছর পিছিয়ে যেতে হবে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে’। এ প্রসঙ্গে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘ওই ছয় ছেলে শিক্ষার্থীর কোনোভাবেই মহিলা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। তাদেরকে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।’ এ ব্যাপারে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ছাত্রদের ভুলে বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলে এমনটা হয়েছে। ভর্তির চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা ওই ছয় ছাত্র ভর্তি হওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পরে তারা ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে চলে গেছেন। মহিলা কলেজে তাদের ভর্তির সুযোগ নেই। যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চায় তাহলে তাদেরকে অন্য কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারে।