শিক্ষা/জাতীয় সংবাদ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মজনুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারী শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালত সূত্র জানায়, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে মজনুকে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনেটে তাকে আদালতের এজলাসে নেওয়া হয়। শুনানি শুরু হয় ২টা ৫২ মিনিটে, শেষ হয় ২টা ৫৮ মিনিটে।
শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির ২৫ সদস্যসহ ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামির রিমান্ডের জোর দাবি জানান। তবে আসামি মজনুর কোনও আইনজীবী ছিল না। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড হতে ৪০-৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছায় ভিকটিম। এরপর আসামি পেছনের দিক থেকে ভিকটিমের গলা ধরে ফুটপাতে ফেলে দেয় এবং গলা চেপে ধরে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানার শ্যাওড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাব আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, গ্রেফতারের পর র্যাব-১ আসামিকে ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং ধর্ষণের বিষয় স্বীকার করে। সে অভ্যাসগতভাবে ধর্ষণকারী। প্রতিবন্ধী, পাগল ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করে আসছে সে। আসামি ভাসমান অবস্থায় থাকে। তার স্থায়ী কোনও বাসা নেই।