তালা প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় তালাতেও চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা ও হিমেল হাওয়ায় একেবারেই নাজেহাল অবস্থা জনমানুষের। গরম কাপড়ের অভাবে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।দুস্থ, অসহায়, ও ছিন্নমূল হতদরিদ্রদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত কম্বল পৌঁছে দিতে গভীর রাত্র আনুমানিক ১২টার দিতে তালা উপ-শহরে নেমে পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন। গতকাল বাজার সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত দুস্থ অসহায় নারী-পুরুষের গায়ে নিজ হাতে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে মানবতার নজির সৃষ্টি করেন তিনি। রাতের আধারে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি কম্বল হাতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি এসব মানুষগুলো। অসহায় মানুষগুলো আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের এখানে আগে কোনোদিনই কেউ এভাবে দেখতে আসেনি। তালা বাজারের ঝাড়–দার উষারানী বলেন,আমি প্রতিদিনের ন্যায় বাজারে ঝাড়– দিচ্ছলাম।হঠাৎ করে দেখি একটি লাল রঙ্গের গাড়ি এসে থামলো। গাড়ি থেকে ইউএনও সাহেব নেমে আমাকে একটি কম্বল দিলো। এমন করে গভীর রাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কম্বল বিতারণ করতে আমি জীবনে প্রথম দেখলাম। আমি ইউএনও সাহেবের মঙ্গল কামনা করছি । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সরকারি অনুদানের কম্বলগুলো প্রকৃত শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্যই রাতে হতদরিদ্রদের বেড়িয়ে পরেছিলাম। বিত্তবান মানুষ গরম কাপড় ক্রয় করে শীত নীবারণ করলেও গরীব-ছিন্নমূল মানুষেরা টাকার অভাবে ক্রয় করতে পারছে শীতের গরম কাপড়। তাই অসহায় দরিদ্র, ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দূর্ভোগ। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে দিনমজুর শ্রেনীর মানুষ শ্রমিকের কাজে যেতে পারছে না। রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষ শীতে কষ্ট করেন। এরাই প্রকৃত শীতার্ত। তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য এদের কাছে ছুটে আসা।এছাড়াও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।