জাতীয়

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে

By Daily Satkhira

January 10, 2020

দেশের খবর: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে কঠোর নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আজ প্রথম দিন। ইজতেমায় অংশ নিতে গতকাল থেকেই ময়দানে আসতে থাকে মুসল্লিরা। আসেন বিদেশি মুসল্লিরাও। আজও তা অব্যাহত রয়েছে। মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান।

আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ পর্ব। এরপর ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্বে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী ও দ্বিতীয় পর্বে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমায় অংশ নেবেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবার পুরো ইজতেমায় কাজ করবেন জেলা প্রশাসনের ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। মুসল্লিদের পারাপারের জন্য সেনাবাহিনীর সাতটি ভাসমান সেতু প্রস্তুত করা হয়েছে ইতিমধ্যে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে এবং সব ট্রেনের টঙ্গী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়ার কথা রয়েছে। এবার পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জেলার লোকজন খিত্তা অনুসারে বসবেন। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাত স্তরে কাজ করবেন প্রায় আট হাজার পুলিশ সদস্য। পুরো ইজতেমার মাঠ ঘিরে থাকবেন র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। পুলিশের নিজস্ব ১৬টি ওয়াচ টাওয়ারসহ র‌্যাবের নিজস্ব ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে পুরো ইজতেমা। মাঠের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমার মতো মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে।