খেলার খবর: পেস বলে যেমন তেমনি স্পিন বলে লং অফ দিয়ে চোখ ধাঁধানো কটা ছক্কা মেরেছেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। ওই শটগুলো দিয়েই নিজের প্রতিভার স্বপক্ষে আরেকবার কথা বললেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাদের অন্যতম তিনি। তাকে গড়ে তুলতে বিসিবির খরচা-পাতিও কম নয়। কিন্তু নাজমুল শান্ত ঠিক সেরাটা দিতে পারছিলেন না।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম সেঞ্চুরি করে আরেকবার নিজের আগমনী বার্তা দিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে নজরে আসা রাজশাহীর এই তরুণ। বিপিএলে তার সেঞ্চুরি দিয়ে ২১টি সেঞ্চুরি দেখা গেলো। তার অধিকাংশই ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ বিদেশি ক্রিকেটারদের দখলে। এবারের আসরে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সেঞ্চুরির কোটা পূরণ করলেন নাজমুল। এর আগে আন্দ্রে ফ্লেচার এবং ডেভিড ম্যালান সেঞ্চুরি পেয়েছেন।
আর বিপিএলের সাত আসরের মধ্যে বাংলাদেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন নাজমুল শান্ত। এর আগে শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল বিপিএলের ২০১৩ সালের আসরে সেঞ্চুরি করেন। সাব্বির রহমান একশ’ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন ২০১৬ সালের আসরে। আর সর্বশেষ আসরের ফাইনালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে শিরোপা জেতান।
শান্ত ৫৭ বলে ১১৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে ৮ উইকেটে জিতিয়ে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে সাতটি ছক্কা ও আটটি চারের মার দেখা গেছে। তার আগে মেহেদি মিরাজ ২৫ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেরেন। শেষে শান্তকে সঙ্গ দিয়ে মুশফিক ১০ বলে ১৮ রান করে দুইশ’ ছাড়ানো লক্ষ্য ১১ বল হাতে থাকতে তুলে ফেলেন। তার দল খুলনা টাইগার্স বঙ্গবন্ধু বিপিএলের গ্রুপ পর্ব শেষ করে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে। নিশ্চিত হয় রাজশাহীর সঙ্গে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা।