দেশের খবর: ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি কিংবা হস্তক্ষেপ না করতে দলের নেতা-কর্মীদের বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এটা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও হস্তক্ষেপ থাকবে না। কেউ যেন বাড়াবাড়ি কিংবা হস্তক্ষেপ না করে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরব আমিরাতে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে হবে।
আওয়ামী লীগ নীতিগতভাবে ইভিএমের পক্ষে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বাসী। তবে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, তারা ইভিএম সিস্টেমে নির্বাচন না করে আগের সিস্টেমে নির্বাচন করবে। এটা একান্তই তাদের ব্যাপার। কমিশন যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটা মেনে নেবো।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি অভিযোগ তোলার পর বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে সংশয় নিয়েই স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তুলছে তারা। এর মধ্যেই সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার প্রধানের কঠোর বার্তার কথা জানালেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডয়ের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের যুক্তি হলো বিএনপির মহাসচিব যদি নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি কেন অংশ নিতে পারবেন না?
ভোটের আচরণ বিধি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ক্ষুণ্ন করছে দাবি করে কাদের বলেন, আমরা এটা মেনেও নিয়েছি। আমাদের যুক্তিযুক্ত বিষয়টি আমরা শুধু জানিয়েছি মাত্র। এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না। বাংলাদেশের জন্য এটা অভিনব একটা কিছু যে মন্ত্রী-সাংসদরা অংশ নিতে পারবে না। এটা হওয়া উচিত নয়।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।