দেশের খবর: সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দিয়ে তাতে বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করার মাধ্যমে ফেসবুক পোস্টে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর চার দিনের মাথায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ক্ষমা চায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি নিজেদের অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি পোস্ট করে সকলকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটি। সেই পোস্টে তারা যে ছবি ব্যবহার করেছিল তা মূলত সিরিয়ার। ছবিটিতে একটি ধ্বসে পড়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দুই শিশুকে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অনেক সাধারণ মানুষ ভুল সময় ভুল স্থানে থাকার কারণে আক্রমণ, ভায়োলেন্স ও মৃত্যুর মুখে পড়ছে। যুদ্ধ ও সংঘর্ষের সময় আক্রান্তদের কথা প্রকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। না বলা গল্পগুলো জানাতে লাখো মানুষের এই আন্দোলনে আপনিও যোগ দিন।’
পোস্টটি দেওয়ার পর থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। বিভ্রান্তিকর এই ছবি ছড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে অভিযোগ করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশিরা। বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় নিজেদের অফিসিয়াল পেজে থেকে তা সরিয়ে ফেললেও তা বিশ্বজুড়ে শেয়ার হতে থাকে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার নিজস্ব অফিসিয়াল পেজ থেকে আরেক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ক্ষমা চায় মানবাধিকার সংগঠনটি। পোস্টে বলা হয়, ‘আক্রমণ, ভায়োলেন্স ও মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে ভুলক্রমে বাংলাদেশের নাম জড়ানোর কারণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্ষমা চাইছে।
আমরা আমাদের দোষ স্বীকার করে নিচ্ছি এবং বাংলাদেশের মানুষ ও যারা এতে কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি। ফেসবুক পোস্টটি ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ভুল আর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্ষমা চেয়ে আরও বলে, আমরা স্বীকার করছি বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধ, সংঘাত চলছে না। বরং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অন্তত ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।