নিজস্ব প্রতিনিধি : বল্লিতে সরকারী খাল দখল করে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ ও একাধিক অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগকারীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। ১৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সদর উপজেলা ভূমিকর্মকর্তা কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী অভিযোগকারী বল্লী ভাটপাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের পুত্র শেখ খায়রুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নের হাজিপুর হইতে ঘরচালা সরকারী মান্ডারী খাল দুই কিলোমিটারের মধ্যে এক কিলোমিটার খালে নেট পাটার বাধ দিয়ে মোজাফফর চক্র মাছ চাষ করে আসছে। যে খাল যুগ যুগ ধরে স্থানীয় মৎসজীবী শ্রেণির মানুষ মাছ ধরে জিবীকা নির্বাহ করত। উক্ত খালে ২০১৩ সাল থেকে একই এলাকার ঘরচালা গ্রামের মৃত ছাফেদ আলী মোড়লের পুত্র মোজাফফর হোসেন, তার সহযোগী হাজিপুর গ্রামের আনিছ উদ্দীনের পুত্র সাইফুল্লাহ ভুট্টো, ঘরচালা গ্রামের আনারুল মোড়লের পুত্র কামরুল, নাজমুল, জাহারুল, সন্ত্রাসি মোশারফসহ ২০/২৫ জন মিলে উক্ত খালে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে এলাকায় ব্যাপকভাবে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তারা অত্র এলাকার ৫/৭ টি গ্রামের নিরীহ কৃষকদের সেচ কমিটির অজুহাত দেখিয়ে পানি নিস্কাশনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত খাল জবর দখলকারীদের কবল থেকে মুক্ত করতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাংবাদিক শেখ খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। যার প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা ভূমিকর্মকর্তা গত ইং ০২/০১/২০২০ তারিখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান ও বল্লী ভূমিসহকারীকে চিঠি প্রেরণ করেন। কিন্তু প্রভাবশালী জবরদখলকারী চক্র স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে সেচ কমিটির কাগজপত্র দেখিয়ে ম্যানেজ করে উচ্ছেদ বন্ধ রেখে পুনরায় গত ১৪ জানুয়ারি২০২০ তারিখে সদর ভূমিকর্মকর্তার নিকট জবর দখলকারীদের নিয়ে হাজির করেন। একপর্যায়ে বল্লী কালের চিত্র প্রতিনিধি মিলন হোসেনসহ দুজনে স্বশরীরে সদর এসিল্যান্ড এর কার্যালয়ে হাজির হন। এর মধ্যে মোজাফফর বাহিনীর অন্যতম সদস্য হাজীপুর গ্রামের আনিস উদ্দীনের পুত্র সাইফুল্লাহ ভুট্টো বাদীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে গোটা পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এঘটনায় এসিল্যান্ড মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা বলে পরিবেশ ঠান্ডা করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।