সাতক্ষীরা

ঝাউডাঙ্গায় ৬ দিনব্যাপি শ্মশান কালীপুজা ও পৌষ সংক্রান্তি উৎসব শুরু

By daily satkhira

January 15, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : কালীপুজা হিন্দু সম্পদায়ের বিশেষ অনুষ্ঠান হলেও এ উপলক্ষে আয়োজিত পৌষ সংক্রান্তি উৎসব সকল সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিণত হয়। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় যুগ যুগ ধরে প্রবহমান এ মেলায় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। মেলা উপলক্ষ্যে পরিবেশিত হওয়া যাত্রাপালা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পদাবলী কীর্তণ বাঙালীর হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এ মেলা বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়। বুধবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গায় ছয় দিনব্যাপি শ্রীশ্রী শ্মশান কালী পুজা ও পৌষ সংক্রান্তি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঝাউডাঙ্গা মহাশ্মশান মন্দির প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধীর কুমার ঘোষ। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, কলেজ শিক্ষক হাসান মাহমুদ রানা, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাদল দাস প্রমুখ। এর আগে মন্দির প্রাঙ্গনে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী। সকাল সাড়ে ১১টায় মন্দির প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালিএকর হয়ে ঝাউডাঙা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দুপুর ১টায় শ্মশান কালী পুজা শেষে প্রসাদ বিতরন করা হয়। সন্ধ্যায় ভাগবত আলোচনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া মেলা উপলক্ষ্যে বৃহষ্পতিবার দুপুর দু’ টোয় পদাবলী কীর্তণ ও আনন্দ বাজার অনুষ্ঠিত হবে। রাত আটটায় অনুষ্ঠিত হবে সামজিক যাত্রাপালা। শুক্রবার দুপুর দু’ টোয় পদাবলী কীর্তণ ও আনন্দ বাজার। রাত আটটায় অনুষ্ঠিত হবে সামাজিক যাত্রাপালা। শনিবার বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও রাত আটটায় মঞ্চস্ত হবে ভক্তের ডাকে কাঁদে ভগবান। রোববার বিকেল তিনটায় শিশু ও মহিলাদের অংশগ্রহণে খেলাধুলা। রাত আটটায় পরিবেশিত হবে ব্যাণ্ড সঙ্গীত। সোমবার বিকেলে খেলাধুলা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। রাত ৮টায় জমজমাট ডিজিটাল ব্যাণ্ড সঙ্গীত পরিবেশিত হবে।