অনলাইন ডেস্ক : সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোটের তারিখ পেছানোর দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন কমিশনমুখী পদযাত্রা পুলিশের বাধায় ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার পর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলে। এর মধ্যে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকানো, এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ঢাবির এক ছাত্রের বুকে বুকে ব্যবসায়ীর পিস্তল ঠেকানো এবং শিক্ষার্থীদের গণপিটুনির ঘটনাটি খবর হয়। জানা গেছে, ওই ব্যবসায়ীর গাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ছিলেন। তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী। গাড়ি আটকে রাখার এক পর্যায়ে বিরক্তিতে ধৈর্য্য হারিয়ে তিনি পিস্তল বের করেন।
শাহবাগ থানার একজন এসআই জানান, ওই প্রবাসী ব্যবসায়ীর নাম আসিফ রশিদ খান। তিনি দুবাইয়ে থাকেন। গাড়িতে পিস্তল ও শটগান ছিল তাঁর। দুটোই লাইসেন্স করা। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে ছিলেন। এদিকে গাড়ি আটকে দেওয়ায় তিনি শিক্ষার্থীদের বোঝাতে গাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু বেরিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। এক পর্যায়ে তিনি পকেট থেকে পিস্তল বের করে জগন্নাথ হলের ছাত্র কপিল দেব বর্মণের বুকে তাক করেন। এরপরই গণপিটুনির শিকার হন।
এ ঘটনা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আজিমুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) এজিএস সাদ্দাম হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, জগন্নাথ হল ছাত্রসংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস, জিএস কাজল দাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে দুপুর ২টার দিকে গণপদযাত্রা করে নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রা শাহবাগ গণগ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ওই ব্যবসায়ী শাহবাগ মোড় পার হতে চান এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।