নিজস্ব প্রতিনিধি সাতÿীরার তালায় ভুমি দস্যু বিলøাল কর্তৃক সরকারী ইজারাকৃত সম্পত্তিতে নির্মিত দোকানঘর জবর দখল, হয়রানি ও মিথ্যামালায় ফাঁসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতÿীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, তালা উপজেলার চরগ্রামের মৃত আতাউলøাহ’র ছেলে ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ পাড়। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর থেকে সরকারি খাস জমিতে দোকানঘর নির্মান করে আমি ভোগ-দখল করতে থাকি। এরপর ২০১৩ সালে তালা উপজেলা ভুমি অফিস থেকে আমি ও আমার কন্যা বিকুলি পারভীন বৈধভাবে জেঠুয়া বাজারে ১নং খাস খতিয়ানের ৪২২ দাগের ১৫ বর্গমিটার জমির উপর আমার নির্মিত দোকানঘর বন্দোব¯Í পাই। এরপর সেখানে আমার নির্মিত ভোগ-দখলিয় দোকানঘরের সংস্কার কাজ করতে গেলে চরগ্রামের এনায়েত আলী পাড়ের ছেলে বিলøাল হোসেন পাড় আমার কাজে বাধা সৃষ্টি করে। সে ওই সম্পত্তি ওয়ারেশ সুত্রে দাবি তার করে। এরপর স্থানীয় তহশীলদার এসে আমার কাজ বন্ধ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির হতে বলেন। আমি নির্ধারিত দিনে হাজির হলে আমার নিকট থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান (দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি কমিশনার ভুমি) সরেজমিন হাজির হলে তিনি আমার ও আমার কন্যার পÿে ভোগ দখলের লিখিত আদেশ দেন। পরবর্তীতে বিলøাল আবারও ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক বরাবর আবারও একটি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেÿিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এস এম মাহমুদুর রহমান, সহকারি কমিশনার(ভুমি), সার্ভেয়ার, তহশীলদার সরেজমিনে এসে তদন্ত করার পর জেলা প্রশাসক এস.এম মো¯Íফা কামাল গত ২৭/০৫/২০১৯ তারিখে আমাদের পÿে উভয়ের স্বাÿতির চুড়ান্ত আদেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, বন্দোব¯েÍর চুড়ান্ত আদেশ পেয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে সেখানে আমি ও আমার মেয়ে ব্যবসা করে আসছিলাম। একপর্যায়ে গত ১০ জানুয়ারি বিলøাল তার একদল ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের দিয়ে আমাদের দোকানঘর ভাংচুর করে এবং আমাদের বেধড়ক মারপিঠ করে। নগদ ৫০ হাজার টাকার ছিট কাপড় এবং আমার দোকানে থাকা ৭৬১টি নারিকেল লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে তারা আমাদের জীবন নাশ ও মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। এই ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের নেতৃত্বদেন জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রামপ্রসাদ দাশ। তাদের তোপের মুখে টিকতে না পেরে আমি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি। বিষয়টি জানার পর বিলøাল ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডারা গত ১৫ জানুয়ারি রাতের আধারে আমাদের দোকানঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে দোকানের সকল মালামাল লুট করে দোকাঘরটি জবর-দখলে নেয়। বর্তমানে আমি আমার একমাত্র আয়ের উৎস দোকানঘরটি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি (লতিফ পাড়) ভুমিদস্যু বিলøাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে দোকারঘর রÿাসহ তাদের জীবন বাঁচাতে সাতÿীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশিøষ্ঠ কর্তৃপÿের আশু হ¯Íÿেপ কামনা করেছেন।