নিজস্ব প্রতিনিধি: পাওনা টাকা চাওয়ায় সাতÿীরা শহরের ইটগাছা এলাকার বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম কর্তৃক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সাতÿীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, শহরের ইটাগাছা (মানিকতলা) এলাকার আবুল কালাম মোলøার ছেলে ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, নুরুল ইসলাম আমার আপন মামা। আমি বিগত ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত কুয়েত প্রবাসী ছিলাম। প্রবাসে থাকাকালীন আমি প্রতিমাসে বাড়িতে নিয়মিত টাকা পাঠাতাম। আমি বিদেশ যাওয়ার আগে ও বিদেশ থাকালীন সময়ে আমার মামা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে আমার আম্মা ও আমার স্ত্রী রুনা পারভীনের নিকট থেকে মোট ৯ লÿ ১৯ হাজার টাকা ধার স্বরূপ গ্রহণ করেন। তারপর আমি বিগত ২০১৯ সালে বিদেশ থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে আসি। এরপর আমার মামা নুরুল ইসলামের নিকট আমার পাওনা টাকা চাইতে থাকি। টাকা চাইলে তিনি তালবাহানা শুরু করেন এবং উল্টো আমাদের উপর ÿিপ্ত হন। টাকা চাইলে আমাদের খুন জখমেরও হুমকি দিতে থাকেন। এরই জের ধরে বিগত ২০১৯ সালের ৮ই ডিসেম্বর আমি যশোর থেকে আমার ছোট ভাই আব্দুল হান্নানের নিকট থেকে জমি বিক্রির বায়না বাবদ ১ লÿ ০৫ হাজার টাকা নিয়ে রাতে বাড়িতে ফেরার পথে আমার গেটের সামনে আমার মামা নুরুল ইসলাম এবং তার সঙ্গীয় সাইফুল ইসলাম, সাহেদ, মো. মামুন, ফয়সালসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন সন্ত্রাসী দা, লোহার রড, জি.আই.পাইপ, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর আতর্কিত হামলা করে। আমার স্ত্রী আমার ডাকে গেটের বাইরে আসলে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমার স্ত্রীর উপরেও হামলা করে শøীলতা হানি ঘটায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে। এ সময় আমার পকেটে থাকা ১ লÿ ৫ হাজার টাকা সাইফুল ও মামুন জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। আমি এতে বাধা দিলে আমার মামা নুরুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি বলেন, আমার মামা বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম শহরের ইটাগাছা এলাকায় কিছু মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের আশ্রয়দাতা। তিনি বিদেশে মানব পাচারের জেলার মূল হোতা। সাতÿীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিনি অবৈধ পথে বিদেশ লোক পাচার করে থাকেন। আর তার এই সকল কাজের একমাত্র সহযোগী হিসেবে কাজ করে শ্যামনগর ভেটখালী এলাকার গহর আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম। এমনকি তিনি তার নিজের ছেলে সাব্বির হোসেনকে ভারতে পাচার করে দেন। পরবর্তীতে আমার মামাতো ভাই সাব্বির হোসেন ভারত থেকে নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে সাদ্দাম হোসেন নামে কুয়েতে অবস্থান করছে। তিনি আরো বলেন, আমার উপর হামলা ঘটনায় আমি উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই আব্দুল হালিম আসামীদের আটক না করে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। বর্তমানে তারা বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদের হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে আমরা তাদের ভয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি (খোরশেদ) উক্ত আসামীদের গ্রেফতারসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শা¯িÍর জন্য সাতÿীরার পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপÿের আশু হ¯Íÿেপ কামনা করেছেন।