শ্যমনগর অফিস ঃ শ্যামনগর উপজেলার ৬ নং রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা গ্রাম সংলগ্ন মাদার নদীর চরে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা মিনি সুন্দরবনখ্যাত বনের ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বৃÿ নিধন যজ্ঞে মেতে উঠেছে সিরাজুল গং। প্রত্যÿদর্শী সোরা গ্রামের চিংড়ী ঘের মালিক আব্দুল গফুর, কেরামত ও মহিবুলøাহ জানায়, সোরা গ্রামের মৃত রাহাজউদ্দীন গাজীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম এই মিনি সুন্দরবন পাহারার দায়িত্ব পালন করে আসছে কয়েক বছর পূর্ব থেকে। পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করলেও প্রতিনিয়ত মৃত গাছের আড়ালে বিভিন্ন প্রকার ম্যানগ্রোভ প্রজাতির তাজা গাছ কেটে গোপনে তা বিক্রি করে আসছে। প্রত্যাÿদর্শীরা আরও জানায়, ইদানিং দিনে তাজা গাছ কেটে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখে এবং সুযোগ বুঝে বনের ভিতরেই দাড়িপালøা দিয়ে মেপে বিক্রি করে। গত ২০ জানুয়ারী এমনি ভাবে প্রাই অর্ধশত তাজা কেওড়া গাছ কেটে দুপুর থেকে বিক্রি শুরু করে এবং কিছু গাছ নিজ বাড়িতে সরিয়ে নেয়। ঘটনাটি প্রত্যÿদর্শীরা স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার রিপোর্টারদের অবহিত করে। রিপোর্টাররা ঘটনাস্থলে যেয়ে বনের অনেক ভিতরে ৭০ টি তাজা গাছ ও দাড়িপালøা দেখতে পায়, যা সদ্য কাটা গাছ। স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানায়, পাহারাদার সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মৃত গাছের নাম করে তাজা গাছ কাটতে কাটতে বন উজাড় হওয়ার পথে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সিরাজুল জানায়, এই মিনি সুন্দরবন দেখভালের দায়িত্ব থাকা এনজিও প্রতিনিধি স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের নির্দেশে এ গাছ কাটা হয়েছে। সে আরও জানায়, এই গাছ বিক্রি করে তার বেতন দেওয়া হয়। রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, মৃত গাছগুলি সংগ্রহ করে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া আছে। তবে তাজা গাছ কাটার কোন নির্দেশনা দেওয়া নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ১৭ বছরের সফল ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত শেখ আলমগীর হায়দারের প্রানান্তর প্রচেষ্টায় এবং ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগীতায় নদীর চরে সরকারের খাস জমিতে ৪ কি.মি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বৃÿ দ্বারা এ মিনি সুন্দরবন গড়ে তোলা হয়। এই বন ঝড়-ঝঞ্চা, জলোচ্ছাস ও আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁড়ীবাধ সহ গ্রামবাসীকে রÿা করতে সহযোগীতা করে। কিন্তু এক শ্রেণীর প্রকৃতির বেরসিক শত্রæ চুরি করে বনের গাছ কাটতে কাটতে বনটি প্রায় উজাড় হওয়ার পথে। তিনি এই মিনি সুন্দরবনটি রÿার জন্য সংশিøষ্ট কর্তৃপÿের হ¯Íÿেপ কামনা করেছেন।