শ্যামনগর অফিসঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৮৬ নং দক্ষিণ কুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ডি,এম রাবেয়া খলিল এর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ পালন না করা সহ নানাবিধ অভিযোগ তদন্ত হয়েছে। ২০ জানুয়ারী বিদ্যালয়ে বাদীগণ ও বিবাদীর উপস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক ৭জানুয়ারী ২০২০তারিখের ৩৮ নং স্বারক মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন, শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান মিলন ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ সোহাগ আলম তদন্ত করেন। এসময় মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কাশেম মোড়ল, ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান,এসএমসি সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত স্থলে অভিযোগকারীরা জানান, প্রধান শিক্ষিকা ডি,এম রাবেয়া খলিল এর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস পালন না করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা, বিদ্যালয়ে প্রায় সময় অনুপস্থিত থেকে বিদ্যালয়ে আগমন প্রস্থানে অনিয়মিত হওয়ায় এলাকায় চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সে কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় অপুরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ সোহাগ আলম গত ২মে যথাযথ তদন্ত প্রধানশিক্ষিকা ডি,এম রাবেয়া খলিল জানিয়ে ছিলেন গত ১৭ মার্চ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন এবং অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন।তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি সরকারি ভাবে পালনের দিকনির্দেশনা থাকলেও তিনি পুর্বপ্রস্তুতি মিটিংও করেন নি এবং কাউকে অবহিত করেন নি।এ প্রতিবেদন সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হলে পুনরায় বিষয়টি নিয়ে সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ বাবুল আকতার গত ৮জুলাই শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্ত করেন।ফলে বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এলাকায় চরম ক্ষোভ এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে।ঘটনাস্থলে যথাযথ তদন্ত না হওয়ায় অভিযোগকারীরাসহ এলাকাবাসী চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন।১০মাস গত হলেও তদন্তের পর তদন্ত চলমান থাকা সত্তে¡ও আইনী সুরহা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা ডি এম রাবেয়া খলিল কে অন্যত্রে বদলী করে অন্য একজন কে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ দিয়ে লেখাপড়ার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরে পেতে প্রশাসনের হ¯Íক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।