রাজনীতির খবর: আজ ২৪ জানুয়ারি, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। ৫১ বছর আগে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা এবং ছাত্রসমাজের ১১ দফা দাবির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাত্র মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান (শহীদ আসাদ নামে পরিচিত) নিহত হন। তার আত্মদানের পর ছাত্র-শ্রমিক-জনতার লাগাতার আন্দোলনে ২৪ জানুয়ারি সারা বাংলায় গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এ দিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউরসহ দুজন শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব-মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং সরকারের মুখপত্র তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও মর্নিং নিউজ কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ মোহাম্মদপুরে আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আসাদগেট নামকরণ করে।
জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব-মোনায়েমের স্বৈরতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাই ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও বাংলাদেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ আসাদ পরিষদও কর্মসূচি নিয়েছে।