নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। এসময় দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে ও যাবে বলেও তিনি জানান।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় শেখ হাসিনা একথা জানান।
এর আগে তিনি দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দলের সংক্ষিপ্ত যৌথসভা করেন। গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর নতুন কমিটি প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসে। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয়ভাবে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি নিয়েছি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও দিবসটির কর্মসূচি নিয়েছে। এই কর্মসূচি আমাদের সফল করতে হবে। মুজিববর্ষ নিয়ে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এটা একটা বড় ব্যাপার।
‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। আজ সেই নামটি আর কখনো মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ দীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন। কিন্তু তাকে হত্যার পর সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেই কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজ দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ স্বাধীন করেছিলেন তখন এই দারিদ্র্যের হার ছিল ৮২ শতাংশের বেশি ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি আজ যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি অর্থনৈতিকভাবে এবং সেই সব অর্জনের সুফল একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের গ্রামের মানুষ যেন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে চলতে হবে।
ঢাকা সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যতিব্যস্ত থাকার কারণে দলের কয়েকজন নেতা টুঙ্গিপাড়া আসতে পারেননি। তার কারণও জানান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে যারা কাজ করেছে, তাদের যাওয়া দরকার নেই। বাকি যারা থাকবে তাদের নিয়ে আবার আসবো। পরবর্তীকালে নোটিশ নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভা করা হবে।
‘আজ যেহেতু বেশি সময় নেই, আমাকে হয়তো অল্পসময়ের মধ্যে রওয়ানা দিতে হবে। এরপর উপস্থিত সব নেতার প্রতি ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।’
এরপর হোয়াইট হাউজ থেকে সাড়ে ৩টার দিকে বের হয়ে হেলিপ্যাড থেকে হেলিকাপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি।