নিজস্ব প্রতিনিধি: দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু মহাদেব সাধু সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তভোগী মাগুরা গ্রামের মহাদেব সাধু জানান, গত ২০১৯ সালের প্রথম দিকে পলাশপোল মৌজায় এস এ ২৮৫২ নং খতিয়ানে, ডিপি ১৪৮০, হাল দাগ ৫২৪০, ১৩৯৯০ দাগে ৩৭ শতক জমির মধ্যে ৪.৮০ শতক সম্পত্তি, বিক্রয়ের ঘোষণা দেন উক্ত সম্পত্তির মালিক শওকাত আলীর ওয়ারেশ মামুন। উক্ত সম্পত্তির উপর এই জমি বিক্রয় হবে, কারো আপত্তি থাকলে ২ মাসের মধ্যে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়ে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। কিন্তু ২ মাসের মধ্যে কেউ যোগাযোগ না করায় ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ উক্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করেন। সে সময়ও কোন ওয়ারেশ বা কোন ব্যক্তিদের অভিযোগ ছিলো না। আমি সম্পত্তি ক্রয়ের পর দখল বুঝে নেওয়ার ৬ মাস পরে অক্টোবর মাসের দিকে বাঁকাল কোল্ড স্টোর এলাকার সৈয়দ মোয়াজ্জেদ হোসেনের অর্থলোভী পুত্র সৈয়দ শাফিনুর রহমান আমার ক্রয়করা সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করেছেন মর্মে দাবি করে এবং তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। ২২ জানুয়ারি সাফিনুর রহমানের নেতৃত্বে ইটাগাছা এলাকার মৃত আমির হাবিলদারের পুত্র আল আমিন, ইটাগাছাএলাকার আরশাদ আলী মোল্লার পুত্র সাহাবুদ্দিন ও ইটাগাছা এলাকার রজব আলীর পুত্র মো: তাইজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার কর্মচারীকে মারধর করে ও হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং-১১৮৮, তাং- ২২/০১/২০২০। পরে ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে মিমাংসার জন্য শালিস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলিল সম্পর্কে জ্ঞাত পুলিশ সদস্য সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সৈয়দ সাফিনুর রহমানের কাগজপত্র সঠিক নয় মর্মে উল্লেখ করা মাত্রই সাফিনুর হট্টগোল বাধিয়ে দেয়। এরপর তারা আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৬/২০। তিনি আরো জানান, আদালতের মামলা দেওয়ার পরও সাফিনুর দেশ ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর জের ধরে গত ২৫ জানুয়ারি ইটাগাছা এলাকার মৃত জিয়াদ আলীর স্ত্রী ও কন্যাদের বিভিন্ন প্রলোভনে ম্যানেজ করে উক্ত সম্পত্তি তাদের দাবি করে একটি সংবাদ সম্মেলন করান। অথচ উক্ত সম্পত্তিতে জিয়াদ আলীর স্ত্রী ও কন্যাদের কোন ভাগ বা অধিকার নেই। শওকাত আলীর কাছ থেকে মৃত. জিয়াদ আলী সম্পত্তি খরিদ করেন। কিন্তু জিয়াদ আলী ৫ কাঠা সম্পত্তি শওকাত আলীর কাছ থেকে ক্রয় করলেও তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী, কন্যাদের উপস্থিতিতে ওই ৫ কাঠা সম্পত্তি তার দুইপুত্র আঃ কাদের ও ওয়াজেদের নামে লিখে দেন। সে অনুযায়ী জিয়াদ আলীও ঘর নির্মাণ করে বসবাস করেছিলেন তার দুইপুত্র ভোগদখলে আছেন। তাহলে উক্ত সম্পত্তিতে কন্যাদের আর কোন দাবি থাকার কথা নয়। এদিকে উক্ত বিষয়ে তার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম- সম্পাদক আবুল কাশেম, কৃষি সম্পাদক আকছেদ আলীকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন। আবুল কাশেম ও আকছেদ আলী অত্র এলাকায় অত্যান্ত সুনামের সাথে আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি এর তীব্র ও প্রতিবাদ জানিয়ে উক্ত দখলদার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।