উত্তর কোরিয়ায় সঙ্গে যেকোনো সময় সংঘাত বাধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, যুদ্ধ বাধলে কেউ জিতবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিবিসির খবরে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উদ্বেগ এবং কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন রণতরি পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করলেন ওয়াং।
চীনের আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ বাড়লে তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চল হুমকির মুখে পড়বে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, ‘আমি মনে করি, এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সবার সতর্ক হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কথায় বা আচরণে একে অন্যকে হুমকি দেওয়া এবং চটানো থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।’
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সমস্যা খতিয়ে দেখা হবে। যদি চীন সহায়তা করতে চায়, তাহলে খুব ভালো হবে। যদি না করে, তাহলে চীনের সাহায্য ছাড়াই উত্তর কোরিয়ার সমস্যা আমরা সমাধান করব।’ উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী গতকাল বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উসকানি ভন্ডুল হয়ে যাবে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সে দেশের সেনাবাহিনীর বিবৃতি ইংরেজি ভাষায় প্রচার করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব। হামলাকারীদের টিকতে দেওয়া হবে না। উত্তর কোরিয়া তাদের নির্দয় আচরণ মেনে নেবে না।’
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণের সক্ষমতা নিয়ে ওয়াশিংটন বেশ কিছুদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিষয়টি নিয়ে ফোনালাপ করেছেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।