দেশের খবর: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি ভোট দিয়েছি। কাউন্সিলর পদে শিলু ও বাবলাকে ভোট দিয়েছি। আমি দক্ষিণের ভোটার, তাপসকে ভোট দিয়েছি। আমরা আহ্বান করবো ঢাকাবাসীকে সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ার জন্য। ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি হবেন। উত্তরে আমাদের প্রার্থী আতিক। ইনশাল্লাহ সেও জয়যুক্ত হবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমি ভোট দিয়েছি। প্রত্যেক ভোটার শান্তিমতো তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম’এর মাধ্যমে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে ভোট দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকার জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনগণ যেন তার পছন্দমতো ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করেছি। আমরা জয়ী হয়ে ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তুলবো। এছাড়া নানা পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করবো। সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
কূটনীতিকদের উদ্বেগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্বেগ তারা প্রকাশ করতে পারেন। কারণ আমাদের অতীত ইতিহাস তো ভালো না। আস্তে আস্তে আমরা সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছি। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে বাংলাদেশি চাকরি করেন। তাদেরকে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তারা সঠিক কাজ করেননি। কারণ তারা কীভাবে বিদেশি পর্যবেক্ষক হয়? তারা তো সেখানে চাকরি করেন।’
প্রসঙ্গত, শনিবার ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় ঢাকা উত্তরে ৩৬টি ও দক্ষিণে ৫৭টি ওয়ার্ড ছিল। এবারের দুই সিটিতে ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এতে বেড়েছে ভোটার ও কেন্দ্র সংখ্যাও। এ নির্বাচনে দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩ জন মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। আরও রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা, ইসলামি আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) বাহারানে সুলতান বাহার। এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বিএনপির তাবিথ আউয়াল। এছাড়া, এ সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন—কমিউনিস্ট পার্টির ডা. আহাম্মদ সাজেদুল, এনপিপির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)-এর শাহীন খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ।