অনলাইন ডেক্স : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছয় সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত। এ সময় সাংবাদিকরা নাজেহাল ও হেনস্থার শিকারও হন। এমনকি অনেকের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শনিবার সকালে হামলার শিকার হন অনলাইন নিউজ পোর্টাল আগামীনিউজ.কমের রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান সুমন। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেছেন, এই ঘটনার জড়িতদের চিহিৃত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢামেকে মুস্তাফিজকে দেখতে গিয়ে র্যাবের প্রধান বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঘটনার সময় যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফটো এজেন্সি প্রেস বাংলা এজেন্সি (পিবিএ)-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্য জিসাদ ইকবালকে নিকুঞ্জ এলাকার জানে আলম স্কুল কেন্দ্রে পিটিয়ে জখম করা হয়। তার ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসানের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়। দক্ষিণ সিটির মাদারটেক স্কুল কেন্দ্রে তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রায় সোয়া ঘণ্টা অবরুদ্ধ ও শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজী ও দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর। গতকাল বেলা পৌনে ১১টায় গেন্ডারিয়ার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে তাদের অবরুদ্ধ করেন গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খান রিয়াদ। অন্যদিকে দুপুরে রামপুরার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দ্য ডেইলি স্টারের এক সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। পরে অবশ্য তা ফিরিয়ে দেন তারা। এছাড়া রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাজনীন স্কুল কেন্দ্রে মানবজমিনের নারী সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে দেওয়া হয়।