নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে এক কলেজ শিক্ষককের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই ছাত্রী এর প্রতিকার চেয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছে। এবিষয়ে কলেজে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি অবহিত করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে-কয়েক দফায় কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রীর কলারোয়া বাজারের বাসায়। গত ২৬ জানুয়ারী কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবরে দেয়া অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, ওই কলেজের কম্পিউটার শিক্ষক সোলায়মান তার কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রীর সাথে তার বাসায় দেখা করতে আসেন এবং বাসা চিনতে আসেন। তখন শিক্ষক সোলায়মান ওই ছাত্রীর সাময়িক পরীক্ষার আইসিটি প্রশ্নও নিয়ে আসে তার জন্য। ওই প্রশ্নগুলো না নিলেও তিনি পড়ার টেবিলে রেখে দেন। এর পরে ওই ছাত্রীর মায়ের সাথে তিনি দেখা করতে চান। তখন ছাত্রীর মা বাসায় না থাকায় শিক্ষক সোলায়মান ছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে হাত ধরে টানা টানি শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী শিক্ষকের হাত থেকে রক্ষা পেতে ডাক চিৎকার দিলে তার আন্টি চলে আসে। তখন কোন উপায় না পেয়ে ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে লম্পট শিক্ষক সোলায়মান চলে যায়। এর পর থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে বিরাক্ত করতে থাকে। এর কিছু দিন পরে তার বাসায় কিছু মাছ ও একটি ব্যাগে দুটি ব্রা নিয়ে আসেন। পরে ওই ছাত্রী তার মাকে বিষয়টি নিয়ে জানালে শিক্ষক সোলায়মানের আনা মাছ ও ব্রা দুটি ফেরৎ দিতে বলে। এসময় তিনি মেয়ে সম্মান নষ্ট হবে ভেবে-যে আর মনে হয় এমন ব্যবহার ওই শিক্ষক সোলায়মান করবেন না। কিন্তু তা নয় লম্পট শিক্ষক থেমে নেই সে প্রায় সময় ফোন নিয়ে উত্ত্যক্ত শুরু করে। নানা ধরনের কথা বার্র্তা বলে। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে ওই ছাত্রী শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৮ জানুয়ারী ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য (জিবি আহবায়ক) ইউনূস আলী, অভিভাবক সদস্য ওজিয়ার রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য ফাতিমা নার্গিস, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ও প্রভাষক মিজানুর রহমান তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কলারোয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এদিকে লম্পট সোলায়মান বিষয়টি ধামা চাপা দিতে বিভিন্ন স্থানে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে। এমনকি ওই ছাত্রীর বাসায় বিভিন্ন লোক পাঠিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সোলায়মানের ফোনে (০১৭৪০৭৬৯৮১১) ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা খাতুন বলেন-কম্পিউটার শিক্ষক সোলায়মানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী অভিযোগ করেছে সেটি তদন্ত চলছে।