মোস্তফা কামাল : শ্যামনগর উপজেলায় ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ও ৬ নং রমজাননগর ইউনিয়নে দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শুরু হবে আজ ১৬ এপ্রিল। অন্ধকারে আলোর লড়াই, কে হবে জনপ্রতিনিধি! ভোটাররা অন্ধকারে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সৎ যোগ্য নেতা খুঁজে নেবেন। জয়ের মাল্য কে পরবেন তা আর কয়েক ঘন্টা পরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জানা যাবে। চেয়ারম্যান আকবর আলী জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ফলাফলে আমার ধানের শীষ প্রতীক ১৮ ভোটে জয়লাভ করে। ৪নং ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতিকে মোট ভোট পান ৫৮৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আল মামুন ঘোড়া প্রতিকে পান ১৩১১ ভোট। রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত রেজাল্ট শীট প্রদান করার পর রেজাল্ট শীটে ফুট মেরে ২৪ ভোট কমিয়ে আল মামুনের রেজাল্ট শীটে ২৪ ভোট যোগ করে তাকে জয়ী করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর রেজাল্ট শীট নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করলে বিজ্ঞ আদালত ঐ ৪ নং কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন। ধানের শীষ ও ঘোড়া প্রতিকের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। পূর্বের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যায় এই হিসাব মেলে। আজ সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্র দুটি হলো- ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ভামিয়া পোড়াকাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬ নং রমজাননগর ইউনিয়নে পূর্ব রমজাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামাল উদ্দীন আহমেদ জানান, পূর্ব রমজাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৬৬১। তন্মেধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৩৬৫ ও মহিলা ১ হাজার ২৯৬। অপরদিকে ভামিয়া পোড়াকাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪। তন্মেধ্যে পুরুষ ৫৫৭ ও মহিলা ৫৩৭। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং ভ্রাম্যমান হিসেবে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন। তিনি আরও বলেন, দুই কেন্দ্রে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনছার ও ভিডিপির সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলা হয়েছে। উল্লেখ্য বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের এ কেন্দ্রের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ডালিম কুমার ঘোরামী জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। অপর দিকে রমজাননগর ইউনিয়নের ওই কেন্দ্রে গোলযোগ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাচন স্থগিত করে দেন। এদিকে ওই দুই কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ভোটাররা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে নির্বিঘেœ ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ভোটাররা। শ্যামনগরের সর্বস্তরের মানুষ এ দুটি নির্বাচন কেন্দ্রের দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছে। শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে এমনিই আশা করছেন সকলেই।