নিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়ায় স্কুল শিক্ষকের বেত্রাঘাতে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে। আহত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর তাকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুল ছাত্রের নাম আশিকুজ্জামান। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আহত স্কুল ছাত্রের খালা সাজেদা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন করছেন। সাজেদা খাতুন জানান, জন্মের পর থেকে তার বোনের ছেলে আশিকুজ্জামানকে তিনি লালন পালন করে আসছেন। আশিকের মা সম্প্রতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আশিকও অসুস্থ। সে চন্দনপুর মাধমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র। আশিক সকালে দেরিতে স্কুলে যায়। এসময় স্কুলের পিওন বজলুর রহমান তাকে শ্রেণি কক্ষে যেতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’জনের কথা কাটাকাটি হলে পিওন বজলুর রহমান আশিককে ধরে নিয়ে প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর কাছে নিয়ে যায়। পিওনের সাথে তর্কবিতর্ক করায় প্রধান শিক্ষক আশিককে বেতের লাঠি দিয়ে বেদমভাবে মারপিট করে। লাঠির আঘাতে যন্ত্রনাকাতর আশিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে তিনি (খালা) তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী জানান, আশিকুজ্জামান প্রায় সময়ই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি করে। তার বিরুদ্ধে ধুমপান করারও অভিযোগ রয়েছে। বয়োজেষ্ঠ্য পিওন বজলু রহমানের সাথে বেয়াদবি করায় আশিককে মারপিট করেছেন বলে তিনি স্বীকার করে আরো জানান, আশিক ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য আমার প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জ্ঞান হারানোর নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে যাতে কেউ বেশীকিছু বাড়াবাড়ি করতে না পারে সেজন্য জরুরী ভাবে শিক্ষকদের নিয়ে স্টাফ মিটিং করা হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় অভিযোগ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে জানান, সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।