বিদেশের খবর: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে চীনা অর্থনীতি। দেশটিতে মৃত্যুর সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও। শুধু মানুষের জীবন নয়, এখন চীনের অর্থনীতির জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস। আর চীন যখন হুমকিতে, তখন বৈশ্বিক অর্থনীতিও নিরাপদে থাকতে পারছে না।
চীনের অভিযোগ, ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চায়না নববর্ষের ছুটি শেষে প্রায় দশ দিন পর লেনদেন শুরু হয়েছে দেশটির শেয়ারবাজারে। তবে প্রথমদিনেই বড় ধসের মুখে বাজার। সূচকের পতন হয়েছে প্রায় আট শতাংশ। যা গেলো চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এছাড়া চীনে ব্যবসা পরিচালনা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সঙ্কটে চীনের আর্থিক ক্ষতি ৬ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দেশের অর্থনীতিতে আরো ২ হাজার ২শ’ কোটি ডলার যোগ করতে যাচ্ছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চীনাদের অন্য দেশ ভ্রমণে যাওয়া তো একরকম বন্ধই। ধস নেমেছে দেশটির সবচেয়ে লাভজনক পর্যটন খাতে। সারাবিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বাতিল করছে চীনে ফ্লাইট পরিচালনা। যুক্তরাষ্ট্র চীন ভ্রমণে সরাসরিই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও কমেছে পর্যটক আনাগোনা।
চীনে ব্যবসা পরিচালনাকারী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান চীনে অবস্থিত তাদের শো-রুম, স্টল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে। দুটি থিম পার্ক বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি। এরইমধ্যে সারা বিশ্বের সাথে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ক্রমাগত দরপতন হচ্ছে চীনের শেয়ারবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকে। সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে বিভিন্ন সূচক। এবছর চীনের প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ৫ শতাংশে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, ৮ দেশের পর এবার চীনাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করেছে মিয়ানমার ও ফিলিপাইন। চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। আক্রান্ত ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।