দেশের খবর: রংপুরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে হারাগাছ থানা পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর পরিবারের মামলা নেয় (মামলা নং-০১) হারাগাছ থানা পুলিশ। রাতে অভিযান চালিয়ে গৃহশিক্ষক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ও ধর্ষককে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদেরকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের শনিবার হারাগাছের চোরমারা বটেরতল এলাকায় গৃহশিক্ষক সোহেল রানা কৌশলে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর অভিভাবকরা পুলিশে খবর দিলে পলাতক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে হারাগাছ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু থানার ওসি আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ওইদিন মধ্যরাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রাকিবুল হাসান পলাশ ও একই দল থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমানের হাতে তাদের তুলে দেন। পরের দিন রবিবার মধ্যরাতে হারাগাছ ইউপি কার্যালয়ে টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিচার বসানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা। ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হারাগাছ থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে বাধ্য হয়ে পুলিশ বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবারের মামলা গ্রহণ করে। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে।