ভিন্ন স্বাদের খবর: সেবাই পুলিশের ধর্ম। এ ধ্যান-ধারণাকে বুকে লালন করে ১১ দিনের নবজাতককে মধ্যরাতে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে কাছে নিয়ে গেলেন তালা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেকেন্দার আলী ও এসআই প্রিতিশ রায়। শিশুটির বাবা অত্যন্ত দরিদ্র। তিনি সাতক্ষীরা সদরের কচুয়া গ্রামের অন্ত্যজ জনগোষ্ঠীর হতদরিদ্র নরসুন্দর শংকার সরকার। চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সংগতি তার নেই। তাই নিদারুণ কষ্ট ভোগ করে দিন দিন মৃত্যুর পথে এগোচ্ছিল শিশুটি। বর্তমানে অসুস্থ শিশুটি তার মায়ের সাথে তালার জাতপুর ঋষিপড়ায় দাদু চিত্তরঞ্জন সরকারে বাড়িতে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় তার বাবা সবার কাছে সাধ্যমত সহযোগীতা করার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। সরাসরি অথবা বিকাশের মাধ্যমে সহযোগীতার জন্য পারসোনাল বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে- ০১৭৬১৮৩০০৩৬।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার মধ্যরাতে তালা থানার ওসি তদন্ত সেকেন্দার আলী ও এসআই প্রিতিশ রায়সহ পুলিশের একটি টহলদল উপজেলার জাতপুর ঋষিপাড়ার কাছাকাছি পৌঁছলে শিশুটির মায়ের কান্নার শব্দ শুনতে পান। এসময় তারা এগিয়ে যান। পরে জানতে পারেন, শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। কোনো যানবাহন না পাওয়ায় চিকিৎসকের কাছে নিতে পারছেন না তার পরিবার। ওই মুর্হূতে টহল গাড়িতে করে তারা শিশুটিকে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হলে ওই রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
আবেগজড়িত কণ্ঠে তারা পুলিশের এমন ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তালা থানার ওসি মেহেদি রাসেল ঘনাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি আমার ওসি (তদন্ত) সেকেন্দার আলী ও এসআই প্রিতিশ রায় অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন এবং মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। পিতা-মাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ