বিদেশের খবর: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নাজুক অবস্থায় চীন। এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে এটি নিয়ে নানা কল্পনা-জল্পনা।প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে গেছে।এদিকে, গত সোমবার একদিনেই মারা গেছেন ৬৪ জন। সে হিসেবে প্রতি ২৩ মিনিটে ১ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
চীনে প্রতিদিনই নতুন করে বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে। দিন-রাতের পরিশ্রমে রোগীদের সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির চিকিৎসকরা। উহান স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক জিং বলেন, উহান ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমি নিজেকে নিয়ে ভাবছি না। যা করছি তা আমার দায়িত্ব।
ইতোমধ্যে জাপান, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিশ্বের ২৪টি দেশে আক্রান্ত হয়েছেন দেড়শ’ জনের বেশি মানুষ।
প্রসঙ্গত,অনেকেই দাবি করেছিলেন সাপ থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস, কেউবা দাবি করেছিলেন বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে এটি। এবার বাদুড় থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানো সংক্রান্ত বিষয়ে দুটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলো। সোমবার নেচার সাময়িকীতে গবেষণা দুটি প্রকাশিত হয়েছে।এতে দাবি করা হয়েছে, সার্স ভাইরাসের মতো করোনাভাইরাসও বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে।
চীনের ফুদান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ইয়ং জেন জং ও তার এক সহকর্মী প্রথম গবেষণাটি করেছেন। এ গবেষণার জন্য তারা এক রোগীর ফুসফুস থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। ওই রোগী গত ২৬ ডিসেম্বর জ্বর-কাশির লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।