আন্তর্জাতিক

প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

By daily satkhira

February 06, 2020

ক্রীড়া ডেস্ক:  বহু প্রতীক্ষার পর স্বপ্নের ফাইনালে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ আসে, বিশ্বকাপ যায়। প্রতিবারই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তামিম, মুশফিক-আশরাফুল-মিরাজরা যা পারেননি, তাই করে দেখালেন আকবররা। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।

১৯৯৮ সাল থেকে ১৩টি আসর খেলেছে লাল-সবুজ জার্সীধারীরা। প্রতি আসরে স্বপ্নের বেলুনটা ফুলিয়ে এলেও শেষে চুপসে গেছেন তরুণরা। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে খেলা যুব বিশ্বকাপে মিরাজ-শান্তরা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। চার বছর পর আকবররা প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিলেন। এবার পালা শিরোপা জয়ের। আগামী রবিবার ভারতের বিপক্ষে জিততে পারলেই স্বপ্নের ট্রফি জয়ের সুযোগ হবে জুনিয়র টাইগারদের সামনে।

স্বপ্নের বিশ্বকাপে যেতে মঞ্চটা শুরুতেই গড়ে দিয়েছেন বোলাররা। নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে অল্পতে আটকে রাখতে পেরেছেন। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে কিউইরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে করতে পেরেছে মাত্র ২১১ রান।

বেশি ভয়ংকর ছিলেন শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশি এই পেসার ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ৪৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। যদিও নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডারে ধস নামিয়ে আসল কাজটা করেছিলেন শামীম হোসেন। ৩১ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। হাসান মুরাদও ছিলেন দুর্দান্ত। ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

সহজ লক্ষ্যে দুই ওপেনারে শুরুটা মন্দ ছিল না। স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে খেলতে থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন। তানজিদ হাসান অবশ্য ধীরস্থির ছিলেন। দলীয় ২৩ রানে আচমকা ক্রিস্টিয়ান ক্লার্কের বাড়তি বাউন্সের বল খেলতে গিয়ে বিপদে পড়েন। ব্যাটের বাইরের কোনায় বল লেগে জমা পড়ে থার্ড ম্যানে থাকা ফিল্ডারের হাতে। ৯ বলে মাত্র ৩ রানে ফেরেন তানজিদ। সঙ্গী হারিয়ে ইমনও থিতু হতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ডেভিড হ্যানককের বলে গ্লাভসবন্দী হয়ে ফেরেন ইমন।

নবম ওভারে হৃদয় রান আউট হতে হতে বেঁচেছেন। রিপ্লেতে অবশ্য দেখা যায় আগেই ঢুকেছেন তিনি। এর পর সতর্কভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন তৌহিদ হৃদয়, সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে প্রাথমিক ভিত গড়ে দিয়েছেন। কিন্তু হৃদয় আকস্মিক ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ২৩তম ওভারে। আদিত্য অশোকের ঘূর্ণি বল বুঝে উঠতে পারেননি। কিপার উইকেট ভেঙে দিলে ৪০ রানের ফিরে যেতে হয় হৃদয়কে। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার।

সঙ্গী মাহমুদুল জয় এর পরেই হাত খুলে খেলেছেন দলকে স্বপ্নের ফাইনালে পৌঁছে দিতে। বাংলাদেশ যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখনই বাউন্ডারিতে তুলে নেন সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই পরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন টাশকফকে। তাতে ভেঙেছে ১০১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। জয়ের ১২৭ বলের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে ৪৪.১ ওভারে। শেষ দিকে শাহাদাত হোসেন ৪০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।