আশাশুনি

আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১টি নতুন এ্যাম্বুলেন্স সংযোগ উদ্বোধন করলেন ডা: রুহুল হক

By daily satkhira

February 11, 2020

ডেস্ক রিপাোর্ট : আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ রোগী বহন কারী একটি নতুন “এ্যাম্বুলেন্স” সংযোগ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সামনে এ এ্যাম্বুলেন্সের শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি। এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন,স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের মাধ্যমে আশাশুনি স্বাস্থ্য কম্পলেক্সের জন্য যে নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা পেলাম এটা আমাদের এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষের জন্য অনেক ভালো হবে বলে আমি মনে করি। কম্পেলেক্সের কর্মকর্তাবৃন্দ ও এ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারকারি রোগির লোকজনদেরকে এটিকে যত্ন সহকারে ব্যবহার এবং ভালো ভাবে দেখভালের আহব্বান জানান তিনি। উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশে স্বাধীনতা-উত্তর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সাফল্যের শুরু বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে; স্বল্পসংখ্যক নগরবাসীর শহুরে স্বাস্থ্যসেবা হতে বিপুল গ্রামীণ জনকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে। স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের তালিকায় সংযোজন, প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানদান, গুটিকয় জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল থেকে থানায় থানায় শত শত গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে স্বাস্থ্যকে গুরুত্ববহ করে তোলা ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবস্থার অগ্রযাত্রা শুরু। ১৯৯০-৯৫, এই সময়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়। সে সময়কার সরকার শত শত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পদচ্যুত, বাধ্যতামূলক অকালীন অবসর প্রদান করার পাশাপাশি দলীয় অনুগত অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়মবহির্ভূত পদোন্নতি প্রদান ও নিয়োগ দান করে। ফলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। মেডিকেলের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। ১৯৯৬ সালে বাংলার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অতীতের শাসকদের লুটপাট, দুর্নীতি ও অস্থিতিশীলতা এবং অ্যাডহক -ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার ধারা পরিহার করে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দেশে প্রথম জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজারের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। দেশের হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা আগের চেয়ে ৭ হাজার বৃদ্ধি করা হয়। প্রথমবারের মতো একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করা হয় কিডনি, ক্যান্সার, নিউরোলজিসহ বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এ ছাড়া চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে বেসরকারি খাতে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মানোন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। বর্তমান সরকারের সুদক্ষ পরিচালনায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে, যার মূলে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অর্জনগুলো। এ সরকারের আমলেই স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও মাঠ পর্যায়ে মা ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাথমিক সেবা প্রদানে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বিগত এক দশকে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প বর্তমান সরকারের আমলে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ডিপিসি এবং এসএসবি’র মাধ্যমে মেডিক্যাল শিক্ষক ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের পদসমূহে প্রায় ১০ হাজার পদে পদোন্নয়ন দেওয়া হয়েছে। এসময় আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার ও কর্মকর্তা বৃন্দ,আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মণ্ডল, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ঢালী সামছুল আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম সাহেব আলী, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোষিকে কাইফু উপস্থিত ছিলেন।