আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। পৌঁছে গেছে ইউরোপেও। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে। দোরগোড়ায় করোনার উপস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মতোই ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে ব্রিটেনেও। আতঙ্কের মধ্যেই দেশটির একজন বিজ্ঞানী সতর্ক করে বলেছেন, ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে ব্রিটেনে প্রায় ৪ লাখ মানুষের মৃ’ত্যু হতে পারে।
এছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। এমনটি হলে চীনের মতোই চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাবে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের মৃতের সংখ্যা ১৬শ’ ছাড়িয়েছে। এদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হংকং, ফিলিপাইন এবং জাপানে তিনজনের মৃ’ত্যু হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার মিসরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে এটি প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঘটনা। বিশ্বের প্রায় ২৭টি দেশে প্রায় ৬৭ হাজার করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চীন ফেরত অন্তত দেড়শ’জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। করোনা আতঙ্কে হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ব্রিটেনের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এমন পূর্বাভাসের মধ্যে ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রফেসর নেইল ফার্গুসন শনিবার নতুন সতর্কতা জানালেন। তবে ৪ লাখ মানুষ এতে মারা যাবেনই- এমন পূর্বাভাস দিচ্ছেন না প্রফেসর ফার্গুসন। তবে তিনি সতর্ক করছেন এ সংখ্যা অসম্ভব কিছু নয়। প্রফেসর ফার্গুসনের মতে, আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা এক ভাগ মানুষ মারা যেতে পারেন। আর ১ শতাংশ মারা গেলে এর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৪ লাখ।