দেশের খবর: রাজাকাদের তালিকা তৈরি করতে যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ লক্ষ্যে নির্দেশনাসহ জেলা প্রশাসকদের নতুন করে চিঠি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসকদের কাছে তালিকা সংগ্রহের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জন জেলা প্রশাসক মাত্র ৩৯৯ জনের একটি আংশিক তালিকা পাঠিয়েছেন। রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য যুদ্ধকালীন কমান্ডারসহ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহের নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসকদের আবারও চিঠি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রাজাকারদের তালিকা বাতিল বিষয়ে নেত্রকোনা-৩ আসনের অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের তথ্য হুবুহু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তা প্রত্যাহার করা হয়।
অন্তর্দ্বন্দ্বে ৩১টি কমিটির যাচাই-বাছাই হয়নি
সংরক্ষিত আসনের সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেক হক জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের নামে তালিকাভুক্তির জন্য প্রাপ্ত দেড় লাখ আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৪৭০টি কমিটি গঠন করা হয়। এর অধিকাংশের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তবে ৮৫টির প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ৫৪টির ক্ষেত্রে মামলা ও অবশিষ্টগুলোর ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকায় যাচাই-বাছাই শেষ হয়নি। এগুলো শেষ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরো যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কোনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়লে সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে ৩১টি কমিটির যাচাই-বাছাই হয়নি।