খেলার খবর: মাশরাফি বিন মর্তুজা খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে না চালানোর মতোই। অবসর না নিলেও টেস্টের বাইরে সেই ২০০৯ সাল থেকে। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরেই গিয়েছেন। এখন শুধু ওয়ানডে ফরমেটটাতেই দেখা যায় মাশরাফিকে।
তবে গত সাত মাস ধরে বাংলাদেশের কোনো ওয়ানডে সিরিজ খেলা হয়নি, মাশরাফিকেও তাই মাঠে দেখা যায়নি। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে তাই আবারও নতুন করে আলোচনায় নড়াইল এক্সপ্রেস। তিনি কি এই সিরিজে খেলবেন নাকি ক্যারিয়ারটার সমাপ্তি হবে মাঠের বাইরে থেকেই?
এমন নানা প্রশ্নের জবাব দিতেই যেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন আজ বুধবার দুপুরে হঠাৎ বোর্ডে এসে উপস্থিত। সেখানে মাশরাফি ইস্যুতে কথাও বললেন বিসিবি বিগ বস। জানালেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বিসিবি সভাপতি জানালেন, মাশরাফি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে থাকছেন। এবং দলের অধিনায়কত্বও করবেন তিনি। তবে একটি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে-অধিনায়ক মাশরাফির এটাই হবে শেষ সিরিজ।
পাপন বলেন, ‘মাশরাফি এই সিরিজে অবশ্যই খেলছে এবং সেটা অধিনায়ক হিসেবেই। ও ফিট না হলে সেটা ভিন্ন কথা। ওর জন্য আমরা অতটা কড়াকড়ি করতে চাচ্ছি না। তবে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের যে বিশ্বকাপটা আছে সামনে, হঠাৎ করে আগ মুহূর্তে অধিনায়ক দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পাঠানো তো সম্ভব নয়। সুতরাং খুব শীঘ্রই আমাদের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। এই সিরিজটা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি।’
যদিও একটি বিষয় পরিষ্কার করেননি নাজমুল হাসান পাপন। মাশরাফির ক্যারিয়ার কি এখানেই শেষ হচ্ছে? ক্রিকেটার মাশরাফির শেষ সিরিজ কি না সেটি খোলাসা করলেন না বিসিবি সভাপতি। তার কথায় বোঝা গেল, সে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটা মাশরাফির ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন।
পাপনের ভাষায়, ‘এটা খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করে। আমরা দেখেছি নামি দামি খেলোয়াড়রা পরিকল্পনা করেই বলে দেয়, এটা আমার শেষ সিরিজ। আমাদেরও ইচ্ছে ছিল, ও যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা ঘটা করে তাকে বিদায় জানাব। ও যদি খেলতে চায়, ও খেলতে পারে। আমরা কেবল অধিনায়কত্বের বিষয়ে ভাবছি। আমরা যদি অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে ডিক্লেয়ার করে দেই, তারপর ও যদি নিজের পারফরম্যান্সে দলে ঢুকতে পারে, ঢুকবে। এটা তো কারো জন্য বাধা নয়। অধিনায়কত্বের ব্যাপারটিতে কিছুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’
এদিকে মাশরাফি ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরে গেলে নতুন অধিনায়ক কে হবেন? সেই সিদ্ধান্তও জানানো হবে এক মাসের মধ্যে। পরবর্তী বোর্ড সভায় নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক ঠিক করা হবে।