নিজস্ব প্রতিনিধি : তালায় ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে বিরোধপূর্ণ জমি থেকে দুটি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে তালার মোবারকপুর গ্রামের আকবার আলী সরদারের পুত্র আসলাম সরদারের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন গাছ কেটেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৬ বছর পূর্বে মোবারকপুর মৌজায় ২৪৬ হাল ২১৪ দাগে ১৩ শতক সম্পত্তি মধ্যে ৫ শতক দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন একই এলাকার মৃত. আমীন উদ্দীন মোড়লের পুত্র আব্দুর রহমান। গত বছর তিন পূর্বে একই এলাকার আকবার আলী সরদারের পুত্র আসলাম সরদার একই দাগে ১৩ সম্পত্তির মধ্যে ৮শতক সম্পত্তি ক্রয় করে। কিন্তু তার পাশে থাকা আরো ৩৮ শতক এনিমি সম্পত্তি সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তিন পাশে প্রাচীর নির্মাণ পূর্বক ভোগদখল করে আসছে। আসলাম বর্তমানে তার ৮শতক সম্পত্তি, এনিমি ৩৮শতক সম্পত্তি এবং আব্দুর রহমানের ক্রয়করা ৫ শতকজমি সহ দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে উক্ত ১৩ সম্পত্তির নিয়ে আদালতে আসলাম ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করলে আদালতে উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি করেন। অথচ আসলাম নিজেই ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি রাতের আধারে ২টি মেহগনি গাছ কেটে নেন। গাছ দুইটির আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা। তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত আসলাম সরদার বলেন, গাছ বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন আগা কেটে দিয়েছে। আর আমি গোড়াসহ বাকিটা কেটেছি। রাতে না দিনের কেটেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি রাতে কাটবো কেন? দিনের বেলায় কেটেছি। যদিও তিনি গাছ কাটার বিষয়ে সংবাদ না প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছেন। এবিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মোবারকপুর গ্রামের মৃত. আজিজ সরদারের পুত্র হাফিজুর রহমান বলেন, ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে একভাবে দুটি সরকারি গাছ কেটে আসলাম অন্যায় করেছে। একই গ্রামের মৃত. এছের মোড়লের পুত্র মুনসুর মোড়ল বলেন, আসলাম মেহগনি গাছ কেটেছে। এঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসলাম গাছ কেটে অন্যায় করেছে। শালিসী বৈঠকে আসলামকে আব্দুর রহমানের রেডর্কীয় ১৬ বছর ভোগদখলীয় ৫ শতক জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আসলামকে বলেছি। কিন্তু আসলাম সেটি করেনি। এঘটনায় আব্দুর রহমানের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানাগেছে।