জাতীয়

ছাত্রীদের সঙ্গে হিন্দি গানে নেচে ভাইরাল অধ্যক্ষ

By daily satkhira

February 19, 2020

ন্যাশনাল ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন আলীর নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে হিন্দি গানের তালে কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের নাচের ভিডিও দেখে সমালোচনা করেছেন অনেকেই। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কলেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে গানের তালে নাচের সময় ভিডিওটি করা হয়। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার কলেজ চত্বরে বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে হিন্দি গান বাজিয়ে কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে নাচেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আলী। ছাত্রীদের সঙ্গে নাচের ভিডিওটি মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই ভিডিও ভাইরাল হয়।

১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শাড়ি পরিহিত বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কোমর দুলিয়ে হিন্দি গানের তালে নাচছেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দীন আলী। এ সময় তার মাথায় টুপি ও গায়ে পাঞ্জাবি-পাজামা পরা ছিল।

অধ্যক্ষের নাচের ওই ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভাষার মাসে ছাত্রীদের সঙ্গে হিন্দি গানের তালে অধ্যক্ষের নাচের ভিডিও দেখে নানা প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।

চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন বলেন, ভিডিওটি দেখে আমি হতবাক। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে কীভাবে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করলেন অধ্যক্ষ, এটিই আমি ভেবেই পাচ্ছি না। অবিলম্বে অধ্যক্ষের শাস্তি হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আলী বলেন, বসন্তবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রীরা জোর করে আমাকে স্টেজে টেনে তুলে নেয়। পরে তাদের অনুরোধে আমি একটু নৃত্য করি। এতে বড় ধরনের দোষের কিছু দেখছি না। যেটি করেছি প্রকাশ্যে করেছি, ছাত্রীদের আনন্দ দেয়ার জন্য করেছি। এটি নিয়ে কে কি মন্তব্য করল তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বসন্তবরণ উৎসবে আলোচনা পর্বে অংশ নিয়েছিলাম আমি। নাচের ঘটনাটি ঘটেছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্বে। তবে ভাষার মাসে হিন্দি গানের তালে এভাবে নাচা ঠিক হয়নি। আমি ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে জানাব।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক (ডিসি) নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বসন্তবরণ অনুষ্ঠান খারাপ কিছু নয়। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়ে মেয়েদের সঙ্গে অধ্যক্ষের ড্যান্স করা উচিত হয়নি। বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।