মীর খায়রুল আলম: দেবহাটায় গরিব অসহায় মানুষের চাউল আত্মসাত করায় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিআরডিপির চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে প্রধান অসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। দৈনিক আজকের সাতক্ষীরায় একের পর এক সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে শনিবার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত অত:পর বিক্রয় করার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। গত মঙ্গলবার দেবহাটার ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা চাউল আত্মসাত করে বিক্রয়কারী ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা জনসম্মূখে একাধিক চ্যালেঞ্জ করে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ করলে শুক্রবার বেরিয়ে আসে ভিজিএফে’র চাউলের রহস্য। জনসাধারণের উপস্থিতিতে উদ্ধার ১৪ বস্তা চাউল জব্দ করে দেবহাটা থানা নিয়ে আসে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে বিষটিতে জড়িত থাকা ৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসার জন্য থানায় নিয়ে আসল রহস্য উৎঘটন শেষে শনিবার দুপুর ১টায় উক্ত চাউল ক্রেতাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত ও বিক্রয় করার ঘটনায় ও চাউল ক্রেতাদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে চাল চোর চাঁদপুর গ্রামের মৃত দারবক সরদারের পুত্র উপজেলা বিআরডিপি’র চেয়ারম্যান ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে প্রধান অসামি করে,রামনাথপুর গ্রামের বশির সরদারের পুত্র ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদারকে ২য় আসামি, বেজরআটি গ্রামের কামাল উদ্দীন গাজীর পুত্র ৫নং ওয়ার্ডের আসমোতুল্ল আসমানকে ৩ নং আসামি, হাদিপুর গ্রামের ৫৫ বস্তা চাল ক্রেতা আজগর আলীকে ৪নং আসামি এবং একই গ্রামের অপর চাউল ক্রেতা ফজলু ও ভ্যানচালক মাসুমকে ৫,৬ নং আসামি করে ৪০৯/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৪, ১০/০৯/১৬। এঘটনার পর থেকে অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে বাইরে আত্মগোপন করে আছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এবিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আতœসাতকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। অপরাধীদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সাধারন মানুষ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।