সাতক্ষীরা

ডিসি-এসপিকে হুমকি ; আবু আহমেদের মামলায় হাসানউল্লাহ কারাগারে

By daily satkhira

February 27, 2020

ডেস্ক রিপোর্ট : দৈনিক কালের ‌ চিত্রের সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নিয়ে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে মো. হাসানউল্লাহ নামের এক যুবককে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা থানায় মামলাটি রেকর্ড করেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। মামলার পর বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বিবরণে দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, হাসানউল্লাহ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। বর্তমানে সে থাকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুরে। মামলায় তিনি বলেন, হাসানউল্লাহ তার দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকায় ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।

২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সে স্বেচ্ছায় চাকুরি ছেড়ে চলে যায়। মামলার বাদি তার আরজিতে উল্লেখ করেন যে, দৈনিক কালের চিত্র অফিসে চাকুরিকালিন হাসানউল্লাহ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য, ফেসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড জানতো। চাকুরি ছেড়ে যাবার পর সে তার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা উস্কানিমূলক, আক্রমনাত্মক ও হুমকিমূলক স্ট্যাটাস দেয়। এতে তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান। মামলায় তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার মোবাইল নম্বর ০১৭১৩১৮১২২৭ দিয়ে অনঁ অযসবফ অনঁ অযসবফ নামের আইডিতে প্রবেশ করে হাসানউল্লাহ। সে বাদিকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ও সম্মানহানি এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি সাধন করতে জেলা প্রশাসনের দুই জন শীর্ষ কর্মকর্তার নাম জড়িয়ে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়।

একই সাথে সে স্ট্যাটাসটি সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের ম্যাসেঞ্জারে পাঠায়। পুলিশ সুপার সেটি যাচাই বাছাই করতে শুরু করলে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত হন। এরপরই গত ১১ ফেব্রুয়ারি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ আসামি হাসানউল্লাহর নাম উল্লেখ করে একটি জিডি করেন। এতে তিনি তার ওপর সন্দেহ প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে বাদি নিশ্চিত হন যে হাসানউল্লাহ নিজেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাদি আবু আহমেদ এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্তপুর্বক আসামি হাসানউল্লাহর বিরুদ্ধে কঠোর আাইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। সাতক্ষীরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হাসানউল্লাহর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৯(১) ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নম্বর-৬৮, তারিখ ২৫.০২.২০২০। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।