সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় যক্ষারোগ প্রতিরোধে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা

By daily satkhira

February 27, 2020

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় যক্ষারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক সমিতির সম্মেলন কক্ষে নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান মোল্যার সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হুসাইন শাফায়াত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি, জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জেলা ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম, শিক্ষক শাহজাহান আলী, আব্দুল লতিফ, এম ইদুজ্জামান ইদ্রীস, মিজানুর রহমান, আব্দুল জব্বার, আমিনুর রহমান, ইমাদুলহক, জহরুল ইসলামসহ ব্র্যাকের কর্মকর্তাবৃন্দ। সার্বিক তত্ববধায়নে ছিলেন নাটাব কর্মকর্তা তরুন কুমার বিশ^াস। সাতক্ষীরা জেলার ৩০জন শিক্ষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফুসফুসে যক্ষা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষারোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যক্ষা একটি জীবানু ঘটিত সংক্রামক রোগ। একনগাড়ে দুইসপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময়পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময়ে রুমাল ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের সকল জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ সরকার যক্ষারোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসার সমস্ত ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সাতক্ষীরা জেলায় যক্ষ্মরোগীর সংকলিত প্রতিবেদন- মোট সনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ৪৬৭২। এর মধ্যে পজিটিভ ২৪৫৬ জন, নেগেটিভ ১৬৮৯ জন, ইপি ২৯৭ জন এবং আরই ডট টিআর ২৩০ জন। মোট ৪৬৭২।