সাতক্ষীরা

খালের ভিতর ও তার দুই পাশের বেঁড়িবাধের মাটি কেটে বাইপাস সড়কের কাজে লাগানোর অভিযোগ

By Daily Satkhira

April 19, 2017

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত কাটা খালের ভিতর ও তার দুই পাশের বেঁড়িবাধের মাটি কেটে বাইপাস সড়কের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে সেখাকার বেঁড়িবাধের দু’ ধারের বড় বড় গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। একটি স্বার্থন্বেষী মহল এখানকার মাটি ও বড় বড় গাছ বিক্রি করে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। শুধু মাটি ও গাছ নয় খালের একাধিক স্থান থেকে গোপনে বালি উত্তোলনও করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খাল থেকে একটি শাখা থানাঘাটা থেকে বের হয়ে লাবসা ইউনিয়নের দেবনগরের উপর দিয়ে বেতনানদীতে মিশে গেছে। আর এ খাল দিয়ে সাতক্ষীরা শহরসহ অত্র অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন হয়। তবে এবার শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি আবুল কালাম উক্ত খালের ভিতরের ও বেঁড়িবাধের মাটি কেটে তা বাইপাস সড়কের কাজে লাগাচ্ছেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন। তারা উক্ত খাল ও বেঁড়িবাধ থেকে অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাটি কেটে নিচ্ছেন। বেঁড়ীবাধ কেটে মাটি নেয়ার কারণে সেটি এতই চিকন হয়ে গেছে যে এবারের বর্ষামৌসুমে ওই বেঁড়ীবাধ ভেঙে লাবসা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর, মাগুরা ও কৈখালীসহ একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার হেক্টর ফসল নষ্ট হতে পারে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে লাবসা ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি আবুল কালাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খালের মাটি কাটা হচ্ছে এটা সঠিক। তবে বিক্রি করা হচ্ছে না। খালটি দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় পানি উন্নয়নের বোর্ডের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে খালের মাটি কেটে তা বাইপাস সড়কের কাজে লাগানো হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বাইপাস সড়কের ৩ কিলোমিটার রাস্তার ঠিকাদার তিনি। আর এ কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করে তা বাইপাসের কাজে লাগাচ্ছেন। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আসাদুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এদিকে, বেঁড়িবাধের ধারের গাছ কেটে নেয়ার ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা জোতিন্দ্র নাথ সরকার জানান, আমাদের জমি খালের ভিতর চলে গেছে। আর খালের ধারে বেঁড়িবাধে আমরা গাছ লাগিয়েছি এবং আমরাই তা প্রয়োজনে তা কেটে নিচ্ছি। তিনি আরো জানান, গাছ কাটার বিষয়টি নায়েব এসে দেখে গেছেন। এ ব্যাপারে লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে। আমি তাদের বলেছি ডিসি সাহেবের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটার জন্য। এর পর আর আমি কিছু জানিনা।