লাইফস্টাইল

স্বাস্থ্যসম্মত জীবন মানুষকে বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকার সময়কে বৃদ্ধি করে: ডা. ফ্রাংক হু

By daily satkhira

March 09, 2020

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কিছু অভ্যাস রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। স্বাস্থ্যবান ও রোগমুক্ত থাকতে কিছু অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে পাঁচটি বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে বলে গবেষণার তথ্যে উঠে এসেছে। ধূমপান, ব্যায়াম না করা, স্থূলতা, অ্যালকোহল আসক্তি এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মতো আচরণগুলো ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এসব খারাপ অভ্যাস দীর্ঘায়ু লাভের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা জানার জন্য গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, এসব অভ্যাস মানুষকে ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত করে।

হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান জনস্বাস্থ্য স্কুলের পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের চেয়ার ডা. ফ্রাংক হু বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত জীবন মানুষকে বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকার সময়কে বৃদ্ধি করে।

তিনি জানান, যেসব নারী ও পুরুষ এ পাঁচটি অভ্যাসচর্চা করে জীবনধারণ করতে পারেন, তারা ১০ বছরের বেশি সময় সুস্থ থেকে বাঁচতে পারেন।

গত বছরে প্রকাশিত গবেষণার অন্য একটি বর্ধিত রূপ প্রকাশ করা হয়। এতে ২৮ বছর ধরে ৩৮ হাজার পুরুষ এবং ৩৪ বছর ধরে ৭৩ হাজার নারীর কাছ থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।

দেখা যায়, ৫০ বছর বয়সী নারীর মধ্যে যাদের এ পাঁচটি বাজে অভ্যাস নেই। তারা বাজে অভ্যাসযুক্ত নারীদের তুলনায় ১৪ বছর বেশি বেঁচে থাকেন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ বছর বেশি বাঁচেন বলে এ গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।

গতকাল বিএমজে জার্নালে এ নতুন গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মানুষের জীবনের ওপর ক্রনিক রোগের প্রভাব সম্পর্কে জানতে এ একই উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এতে রোগঝুঁকির সঙ্গে পাঁচটি স্বাস্থ্যসম্মত আচরণের পারস্পরিক প্রভাব নির্ণয় করা হয়। এ অভ্যাসগুলো হলো- কখনও ধূমপান না করা, বিএমআই ২৫-এর নিচে রাখা, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা, অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ এবং ভালো মানের খাদ্যগ্রহণ।

ফ্রাংক হু বলেন, নারীরা এসব অভ্যাস ত্যাগ করতে পারলে ১০ বছর ছয় মাস বেশি সুস্থ-সবল হয়ে বাঁচতে পারেন। রোগাক্রান্ত হওয়ার তুলনায়ও স্বাস্থ্যবান নারীরা আট বছর ক্যান্সারমুক্ত থাকত পারেন, ১০ বছর কার্ডিওভাসকুলার রোগমুক্ত থাকতে পারেন এবং ১২ বছর ডায়াবেটিস আক্রান্ত না হয়ে থাকতে পারেন।

এদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ অভ্যাসগুলোর চারটি বা পাঁচটি মেনে চললে সাত বছর ছয় মাস অধিক বাঁচতে পারা সম্ভব। এ ছাড়া গড়ে ছয় বছর ক্যান্সারমুক্ত থাকা সম্ভব। এর বাইরে ৯ বছরের বেশি সময় হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না এবং ১০ বছর পর্যন্ত ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে না।

হু এই গবেষণাটিকে একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী জীবনধারণ শুধু মানুষকে দীর্ঘায়ু এনে দেয় না, বরং জীবনের মান উন্নত করে।