নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে গত ২০১৭ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপরই জেলা পরিষদ থেকে অনুদানের চেক এনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকায় ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। অভিযোগকারী ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. শিহাব উদ্দীনের কাছ থেকে ৫০ হাজার, দক্ষিণ বড়দল দূর্গা ও কালী মন্দিরের সভাপতি প্রহ্লাদ এর কাছ থেকে ৯৬ হাজার, উত্তর বড়দল গাজী বাড়ী জামে মসজিদের সভাপতি হামিদ গাজীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার, ফকরাবাদ জে বি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ৫০ হাজার, ফকরাবাদ পূর্ব দক্ষিণ পাড়া বাইতুন নাজাত মসজিদের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আমিনুর সরদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার, বৈরামপুর জামে মসজিদের সভাপতি রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৫০ হাজার, যদুয়াডাঙ্গা কালী মন্দিরের সভাপতি দেবাশীষের কছ থেকে ৫০ হাজার, কাদাকাটি শিব মন্দিরের সভাপতি সঞ্জয় সরকারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা। গোয়ালডাঙ্গা পূর্ব বাজার পাঞ্জেগানা মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম শরীফের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেয় কিন্তু দীর্ঘদিন অনুদান দিতে ব্যর্থ হলে দেলোয়ার ২৮ হাজার টাকা ফেরত দেয় অবশিষ্ট ১২ হাজার বাকি আছে বলে জানায়। দেলোয়ারের এই দুর্নীতিতে তাহার ভাগনা ‘শুভ’ প্রত্যক্ষভাবে তাকে সহযোগিতা করে, যাহার প্রমাণ মোবাইল রেকর্ডিং এ আছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মাহফিলে ও বিচিত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করে বক্তৃতার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দেবে বলে জনসম্মুখে ওয়াদা করেছিল বলে একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। জেলা পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দির থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসাইনের ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ধর্ম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম করে টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বড়দল, কাদাকাটি, কুল্যা ও দরর্গাহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চলছে ব্যাপক হারে গুঞ্জন। বর্তমান সরকার যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সেখানে একজন জেলা পরিষদ সদস্য কিভাবে এ ধরনের দুর্নীতি করে আলিশান বাড়ি/গাড়ি ও অর্থ বানিয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে? এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত ও সুবিচার পাওয়ার জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও এলাকার সচেতন মহল। এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসাইনের এর ব্যক্তিগত মোবাইল নং ০১৭১০১২৩৫২৫ এ বারবার ফোন দিলেও তিনিও রিসিভ করেননি।