- নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ, রাজধানীতে রয়েছে ১৩তলা ভবনসহ একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট
- আয়কর নথিতে বিস্তর তথ্য গোপন, ১৩তলা ভবনের ভিতসহ ৩তলা পর্যন্ত খরচ দেখিয়েছেন ৮ লাখ টাকা!
অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার রামচন্দ্রপুর মৌজায় প্রায় ১০ শতক জমির দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। একই এলাকায় ২০ দশমিক ৩৪ শতক জমির ওপর নির্মাণাধীন ১৩তলা ভবনের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের ভিতসহ তৃতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
এভাবেই আয়কর ফাইলে শিক্ষা প্রকল্পের একজন পিডি (প্রকল্প পরিচালক) প্রকৃত তথ্য গোপন করে বিপুল পরিমাণ আয়বহির্ভূত সম্পদ জায়েজ করার অপচেষ্টা করেছেন। সৌভাগ্যবান এই প্রকল্প পরিচালকের নাম ড. আমিরুল ইসলাম। তিনি ঢাকার নিকটবর্তী ১০টি মাধ্যমিক স্কুল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক।
‘অজ্ঞাত জাদুর কাঠির ছোঁয়ায়’ এই কর্মকর্তা ১১ বছর ধরে ব্যয়বহুল দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছেন। নিজের কর্মস্থলেও তিনি ‘টাকার কুমির’ নামে পরিচিত। শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাবশালী এ কর্মকর্তার পাহাড় পরিমাণ সম্পদের চাঞ্চল্যকর ফিরিস্তি বেরিয়ে এসেছে অনুসন্ধানে।
অথচ এই আমিরুল ইসলাম ছিলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খুবই সাধারণ ঘরের সন্তান। ১৮ বছর চাকরি করেই তিনি তার জীবনের সব হালচাল বদলে ফেলেছেন। সরকারি চাকরির আড়ালে তিনি রীতিমতো একজন আবাসন ব্যবসায়ীও।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাধারণত ঘুষ, দুর্নীতি ছাড়াও তার আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রধান উৎস ছিল এমপিও বাণিজ্য, কেনাকাটায় বিশেষ কমিশন এবং বড় বড় ঠিকাদারি কাজের মধ্যস্থতা করা।
এভাবে তিনি কাঁচা টাকা দিয়ে একের পর এক মূল্যবান একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লটের মালিক হয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রামচন্দ্রপুরে সিটি জরিপের ৫২০১, ৫২০২, ৫২০৫নং দাগের ২০.৩৪ শতাংশ জমিতে আমিরুল ইসলামের ১৩তলা ভবন নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ভবনটিতে ২২শ’ স্কয়ার ফুটের ৩৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার ২৮টি বিক্রি করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে। ৫টি ফ্ল্যাট এখনও অবিক্রীত আছে।
এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আয়কর নথিতে এই ভবনটির ভিতসহ তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় দেখিয়েছেন মাত্র ৮ লাখ টাকা, যা কল্পকাহিনীকেও হার মানিয়েছে। গণপূর্ত অধিদফতরের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ১৩তলা ভবনের ভিতসহ নির্মাণ খরচ পড়বে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। এখানে ৮ লাখ টাকার যে হিসাব দেয়া হয়েছে, তা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এখানে প্রতি শতক জমির দাম কমপক্ষে ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০.৩৪ শতক জমির দামই ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ভবনটি নির্মাণে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু আয়কর নথির সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। পদে পদে প্রকৃত তথ্য গোপন করা হয়েছে।
পিডি ড. আমিরুল ইসলাম পুরো রামচন্দ্রপুর ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় একজন বড় আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার একজন সহকর্মী বলেন, ‘জমি ছাড়াও স্যারের মগবাজার ডাক্তার গলিতে ১৮৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ইস্কাটনে ২১শ’ বর্গফুটের আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।’
আয়কর নথিতে ৪০.৬৫ শতক জমির প্রকৃত মূল্য গোপনের দুটি প্রমাণ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, আয়কর নথিতে ড. আমিরুল ইসলাম রামচন্দ্রপুর মৌজায় ৮৮০৭ ও ৮৮১৩ দাগে ৯ শতক ৯০ অযুতাংশ জমি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় কিনেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
অথচ এই জমির দলিলে প্রকৃত দাম মৌজা অনুযায়ী ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর ৬৮৬৭নং দলিলে জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে এই জমি কিনে নেন। যিনি এই জমির আমমোক্তার দাবিদার।
একই মৌজায় আরএস ২৫৭ ও ২৮৩নং দাগে পারভীন হোসেনের কাছ থেকে তিনি ২০৭৮নং দলিলে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল কিনেছেন আরও ৬ শতক জমি। দলিলে যার মূল্য উল্লেখ করা আছে ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়া রামচন্দ্রপুর ২ ও ৩নং রোডের মাঝের গলিতে পেপসি কোম্পানির গোডাউনের বিপরীত পাশে অবস্থিত টিনশেডের জমিতে আরও একটি ১৩তলা ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অথচ মূল্যবান এই সম্পদ কেনার বিষয়টি আয়কর নথিতে বেমালুম চেপে গেছেন।
যুগান্তরের প্রাথমিক অনুসন্ধানে শুধু রামচন্দ্রপুর মৌজায় অন্তত ৫টি প্লটের সন্ধান মিলেছে। সূত্র বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তিনি নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পদ কিনেছেন। যশোরের বেনাপোলে আছে রড-সিমেন্টের দোকানও।
সম্পদের উৎস
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০০৮ সালে ঢাকা মহানগরে ৬টি মহাবিদ্যালয় ও ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনে সহকারী প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পরই তার ভাগ্য বদলাতে থাকে।
এই প্রকল্পের মূল কাজ ছিল জমি অধিগ্রহণ এবং ভবন নির্মাণ। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে এই প্রকল্পে উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান আমিরুল ইসলাম। সমাপ্ত এই প্রকল্পে তিনি নানা রকম কেনাকাটা ও কমিশন বাণিজ্যে হাত পাকা করেন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বলা হয়, চাহিদামাফিক প্রাইজ পোস্টিং সবসময় তার হাতের মুঠোয় থাকে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, তিন বছর মেয়াদি আড়াইশ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি তিনি নানা ক্যারিশমা করে শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকায় নিয়ে গেছেন। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে প্রকল্পের ব্যয়ও। আসলে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর জন্য নানা অজুহাতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ান। আর যত বড় প্রকল্প, তত বড় দাও মারা। অথচ প্রায় ১১ বছরেও প্রকল্পটি শেষ হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক অঘটনও ঘটিয়েছেন তিনি।
অঘটন কীভাবে ঘটালেন, এর তথ্য তালাশ করতে গিয়ে জানা যায়, আমিরুল ইসলাম দুয়ারীপাড়া সরকারি কলেজের জমি অধিগ্রহণ করেন এক মালিকের, অথচ স্কুল ভবন তৈরি করেন অন্যের জমিতে। আবার হাতিরঝিলে ৪৬ কোটি টাকার জমি অধিগ্রহণ করেও স্কুল নির্মাণ শেষ করতে পারেননি।
এই ব্যর্থতার মধ্যেই তাকে আবার ঢাকার নিকটবর্তী নতুন মাধ্যমিক ১০টি স্কুল স্থাপন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক পদে বসানো হয়। দায়িত্ব পেয়েই তিনি এই প্রকল্প থেকে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা লোপাটের আয়োজন করেন। এখানে যোগ্যতা নিয়েও আছে প্রশ্ন।
১০টি স্কুল স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক চতুর্থ গ্রেডের অধ্যাপক পদমর্যাদার হওয়ার কথা। ডিপিপিতে এই শর্ত দেয়া আছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক ৫ম গ্রেডের সবচেয়ে জুনিয়র কর্মকর্তা। অথচ তদবির করে পিডি পদে নিয়োগ নেন তিনি। এর পেছনে বড় রহস্য হচ্ছে মোটা অঙ্কের দফারফা।
জানা যায়, পিডি আমিরুল ইসলামের নিয়োগটি হওয়ার কথা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কলেজ শাখা ২ থেকে। অথচ রহস্যজনক কারণে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখা-৩ থেকে তার জিও জারি করা হয়।
গোপন সম্পদের প্রত্যক্ষদর্শী
রামচন্দ্রপুরে ২০.৩৪ শতাংশ জমিতে নির্মাণাধীন ১৩তলা ভবনের সামনে গিয়ে পরিচয় হয় সলেমান নামে একজনের সঙ্গে। তিনি ৪ বছর ধরে পিডি আমিরুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করেন। এ কারণে তিনি প্রায় তার সব সম্পদের কমবেশি প্রত্যক্ষদর্শী। আমিরুল ইসলাম সরকারি কর্মকর্তা- এমন পরিচয় শুনে সলেমান হতবাক হয়ে পড়েন।
রামচন্দ্রপুর মৌজায় কোথায় কোথায় সম্পদ আছে জানতে চাইলে সলেমান হোসেন বলেন, ‘আমিরুল স্যারের বেশ কয়েকটি প্লট আছে। ডি ব্লক-১-এ একটি, ডি ব্লক- ২-এ একটির কাজ চলছে। তিন নম্বরে উত্তর মাথায় আছে একটা।
আবার ঠিকাদার আবুল কাশেম জানান, ‘স্যারের ঢাকা উদ্যান পার্শ্ববর্তী নবীনগর এলাকার ১৩ নম্বরে একটি একক মালিকানাধীন প্লট আছে। মোট চারটি প্লটেই ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
আয়ের চেয়ে সম্পদ কয়েকগুণ
ড. আমিরুল ইসলাম বর্তমানে সর্বসাকুল্যে বেতন পান ৫৮ হাজার ৩০৩ টাকা। এর মধ্যে কল্যাণ তহবিল ও যৌথ বীমা বাবদ ২৫০ টাকা, আয়কর ২ হাজার ৬শ’ টাকা, গ্যাস পানি বাবদ ১ হাজার ৪০ টাকা এবং ভবিষ্যৎ তহবিলে ১৪ হাজার টাকা কাটা হয়। অর্থাৎ তিনি বেতন উত্তোলন করেন মাসিক ৪০ হাজার ১৪০ টাকা।
বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮১ হাজার ৬৮০ টাকা। তিনি ২০তম বিসিএসের (সাধারণ শিক্ষা) মাধ্যমে ২০০১ সালের মে মাসে যোগদান করে ২০১৯ সাল নাগাদ সরকারি হিসাবে সর্বসাকুল্যে ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৪শ’ টাকা বেতন-ভাতা পেয়েছেন। অথচ সম্পদ করেছেন শতকোটি টাকার। যার হিসাব মেলানো ভার।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর থানার বয়ারডাঙ্গায় আমিরুলের গ্রামের বাড়ি। বর্তমানে তিনি বয়ারডাঙ্গা গ্রামে থাকেন না। তিনি যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ৮নং বাগাচড়া ইউনিয়নে নতুন বাড়ি করেছেন। সেখানেও ৫ শতাংশ জমি কিনে অত্যাধুনিক একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
বিশেষ কারণে ছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়ায় স্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রথম স্ত্রীর সংসারে এক মেয়ে। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি প্রথম স্ত্রী মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে পরবর্তী সময়ে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
শিক্ষা ভবনে গিয়ে জানা যায়, পিডি আমিরুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনা গ্রাহকদের অনেকেই শিক্ষা ভবনে বিভিন্ন পদে কর্মরত। তার পেছনে আছে দুর্নীতিবাজ একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তারাও তার অনেক অপকর্মের ভাগিদার।
এ কারণে বিপদে-আপদে তারাই তাকে সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন। এসব কারণে আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেও কোনো লাভ হয় না। বরং উল্টো অভিযোগকারীদের হেনস্তা হতে হয়েছে।
এদিকে গণমাধ্যমের হাতে আসা তার আয়কর রিটার্ন থেকে জানা যায়, তিনি সুদের বিনিময়ে ঋণের ব্যবসাও করেন। ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৯ টাকা ঋণও দিয়েছেন তিনি। অধুনালুপ্ত ডেসটিনিতে বিনিয়োগ করেছেন।
২০১২ মডেলের এফ প্রিমিও গাড়িও কিনেছেন তিনি। আয়কর নথিতে গাড়ির দাম ঘোষণা দেয়া আছে ২০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। কিন্তু প্রকৃত দাম রেজিস্ট্রেশনসহ অন্তত ২৬ লাখ টাকা।
কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, পিডি আমিরুল সরকারি চাকরি করেন। অথচ তার কাজকর্ম দেখলে মনে হবে তিনি পুরোদস্তুর একজন আবাসন ব্যবসায়ী। আর কাজও করেন ডেভেলপারের মতো। জমির ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাটের ব্যবসা করেন। দুর্নীতি নিয়ে কথা বললে তিনি কাউকেই পাত্তা দেন না। তার আচার-আচরণে মনে হয়, তিনি যেন দুর্নীতি করতে লাইসেন্স পেয়েছেন। কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা পিডির কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের সুবিধা পেয়েছেন। এভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছে। রহস্যজনক কারণে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রভাবশালী মহিলা কর্মকর্তা প্রকাশ্যে আমিরুল ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভূমিকা রাখেন। তাই তার দুর্নীতির বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলেন না।
তবুও অধরা
শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছেও ড. আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এ রিপোর্ট পর্যন্ত বিষয়টি আমলে নেয়া হয়নি।
এদিকে উল্লিখিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ড. আমিরুল ইসলামের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বক্তব্য নেয়ার জন্য তার দফতরে কয়েকদিন গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। এমনকি একই মুঠোফোন নম্বরে বিষয় ও পরিচয় জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।সূত্র:যুগান্তর